সংক্ষিপ্ত

  • জম্মু ও কাশ্মীরে নাগরিক স্বাধীনতা হরণ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট
  • বুধবারও তা পেশ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় এবং জম্মু ও কাশ্মীর সরকার
  • এরপরই বেশ কড়া ভাষায় সরকারকে সতর্ক করল আদালত
  • যে নির্দেশনামা অনুযায়ী উপত্যকায় ধরপাকড় হচ্ছে তা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

 

জম্মু ও কাশ্মীরে বনধ ও নাগরিক স্বাধীনতা হরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় এবং জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বুধবার (১৬ অক্টোবর)-ও সরকার সেই রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি। এরপরই বেশ কড়া ভাষায় সরকারকে সতর্ক করল আদালত।

আসিফা মুবিন নামে এক মহিলার আবেদনের ভিত্তিতেই এই মামলার শুনানি চলছে। আসিফার স্বামী এক প্রবাসী ভারতীয়। তাঁকে কাশ্মীরে আটক করা হয়েছে। সেই গ্রেফতারিকেই তিনি আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন। দাবি করেছেন বিষয়টি ব্যক্তি স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

জবাবে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তারা হলফনামা জমা দেবে। আর ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষাড় মেহতা যুক্তি দেন, অনেক হস্তক্ষেপকার থাকায় তাঁর হলফনামা পেশ করতে বিলম্ব হচ্ছে। এরপরই দুই সরকারকেই হুমকির সুরে আদালত বলে, 'আমাদের হাল্কাভাবে নেবেন না'।
 
আসিফা মুবিনের পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবী হুজেফা আহমদি দাবি করেছেন, জম্মু কাশ্মীরে যে কয়টি আটকের ঘটনা ঘটেছে, তার প্রত্যেকটি যে ন্য়ায়সঙ্গত তা সরকারকে আদালতে প্রমাণ করতে হবে। তিনি আরও দাবি করেন, যদি আটকের নির্দেশনামা আবেদনকারীকে দেখাতে সরকারের আপত্তি থাকে, সেই ক্ষেত্রে তা অন্তত আদালতে দেখাতে হবে। এরপরই সেই সব নির্দেশনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

পাশাপাশি এদিন সরকারকে উপত্যকায় মোবাইল পরিষেবা দানকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জম্মু কাশ্মীরের বেশ কিছু বাসিন্দার দাবি, গত প্রায় দুই মাস ধরে উপত্যকায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকলেও পরিষেবা দানকারী সংস্থাগুলি তাদের কাছ থেকে বিল বাবদ অর্থ দাবি করছে। তাদের পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, বিল না মেটানো পর্যন্ত ফোন ফোন চালু করছে না সংস্থাগুলি।

এরপর আগামী ২৪ অগাস্ট এই মামলার ফের শুনানি হবে।