সংক্ষিপ্ত

  • ভয়ের গ্রাসে কাশ্মীর উপত্যকা
  • আশ্বস্ত করার চেষ্টা রাজ্যপালের
  • ফিরে আসার চেষ্টা করছেন পর্যটকরা
     

কাশ্মীর পরিস্থিতি ক্রমেই যেন ঘোরালো হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে উপত্যকাবাসীকে আশ্বস্ত করতে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বার্তা, শুধুমাত্র নিরাপত্তাজনিত কারণেই কাশ্মীরে বেশি সংখ্যায় সেনা পাঠানো হচ্ছে। কাশ্মীর নিয়ে কোনওরকম সাংবিধানিক বদলের খবরও তাঁর কাছে নেই বলে এ দিন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল। 

কিন্তু তাতেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না কাশ্মীরবাসী। পেট্রোল পাম্প, মুদি দোকানের বাইরে জরুরি রসদ সংগ্রহে লম্বা লাইন পড়েছে। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় জম্মু- কাশ্মীর প্রশাসন পর্যটকদের দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পরেই নাগরিকদের কাশ্মীরে না আসার সতর্কবার্তা জারি করেছে তিন দেশ। যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ব্রিটেন, এই তিন দেশই কাশ্মীরে না আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছে তাদের দেশের নাগরিকদের। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীর ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন পর্যটকরা। এখনও কোথাও কোনও হিংসার খবর সেভাবে না পাওয়া গেলেও উপত্যকার সর্বত্রই যেন একটা কী হয়, কী হয় ভয়। 

আরও পড়ুন- পাক কাশ্মীরে মাসুদ আজহারের ভাই! অমরনাথ যাত্রীদের উড়িয়ে নিযে যাবে সি-১৭

এই পরিস্থিতিতে যে পর্যটকরা কাশ্মীর থেকে বিমানের টিকিট বাতিল করে ফিরবেন, তাঁদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া-সহ বেশ কিছু বিমান সংস্থা। 

শুক্রবারই অমরনাথ যাত্রা বাতিল করে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের দ্রুত কাশ্মীর ছাড়ার পরামর্শ দেয় রাজ্য প্রশাসন। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে, সেনাবাহিনীর তরফে এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই তৎপর হয় রাজ্য প্রশাসন। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের তরফে সেদেশের নাগরিকদের কাশ্মীরে থাকলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শ এবং নির্দেশিকা মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে। দিল্লিতে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের পক্ষ থেকেও গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। পর্যটকদের দেওয়া পরামর্শে যুক্তরাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, কাশ্মীরে মূল পর্যটন কেন্দ্রগুলিরে বাইরে আচমকা হিংসাত্মক ঘটনা, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা এবং অপরহণের মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে বিদেশি নাগরিকদের। 

একইভাবে জার্মানিও ভারতে বসবাসকারী সেদেশের নাগরিক এবং পর্যটকদের কঠোরভাবে কাশ্মীরে না যাওয়ার পরামর্শই দিয়েছে। নাগরিকদের উদ্দেশে বিবৃতিতে জার্মান সরকার জানিয়েছে, 'শ্রীনগর-সহ কাশ্মীরকে এড়িয়ে চলুন। নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্ত খবরাখবর রাখুন। বিশেষত লাদাখের পশ্চিম অংশে যাতায়াত করলে সাবধান। অপরিচিত কোনও গাইডের পরামর্শ নেবেন না, একা একা কোথাও যাবেন না। বিচ্ছিন্ন কোনও এলাকায় সময় কাটাবেন না। লাদাখে পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে যাবেন না।'

যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির পরে অস্ট্রেলিয়াও একই ধরনের সতর্কতা জারি করে। নিজেদের নাগরিকদের উদ্দেশে অস্ট্রেলীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীরে যাওয়াটা এই সময় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উত্তেজনার মধ্যে পড়ে গিয়ে কোনওরকম বিপদে পড়লে ট্রাভেল ইনস্যুরেন্সের সুবিধা বা দূতাবাসের সাহায্যও যে পাওয়া যাবে না, তাও জানিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।