সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন
- মঙ্গলবার খোলা ছিল শ্রীনগরের দোকান, বাজার
- স্কুলগুলিতেও উপস্থিতির হার ছিল স্বাভাবিক
একশো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে মঙ্গলবার অবশেষে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরল কাশ্মীর উপত্যকায়। খুলল দোকান, বাজার, নিশ্চিন্ত মনে স্কুলে গেল পড়ুয়ারাও।
শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র লালচকে মঙ্গলবার সারাদিনই সব দোকান খোলা ছিল। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে এই দোকানগুলি হয় সবসময়ের জন্য বন্ধ থাকত, নয়তো মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা যেত। সেটাও হতো অনিয়মিতভাবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রতিবাদেই এতদিন দোকান ঠিকমতো খুলছিলেন না ব্যবসায়ীরা। কিন্তু যেহেতু ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল, তাই এবার দোকানও খোলা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিধিনিষেধ জারি হওয়ার কারণে জম্মু কাশ্মীরে গণপরিবহণ ব্যবস্থার উপরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছিল। স্থানীয় বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা এবং ব্যবসায়ীরা যানবাহন বন্ধ রাখায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিলেন কাশ্মীরবাসী। রাজ্য সরকারের জম্মু কাশ্মীর স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের কিছু বাস রাস্তায় থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় ছিল নিতান্তই কম।
আরও পড়ুন- হোটেলের বিলে চোখ কপালে, কাশ্মীরের রাজনৈতিক বন্দিদের আনা হল এমএলএ হস্টেলে
আরও পড়ুন- তুষারপাতে নষ্ট হচ্ছে আপেল, মাথায় হাত কাশ্মীরের চাষিদের
মঙ্গলবার পড়ুয়াদেরও দল বেঁধে আবারও স্কুলে যেতে দেখা গিয়েছে। বিধি নিষেধ জারি হওয়ার কারণে প্রায় তিন মাস ধরে স্কুলগুলি বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার কাশ্মীর উপত্যকার বেশির ভাগ স্কুলেই উপস্থিতির হার নব্বই শতাংশের বেশি ছিল। স্কুলগুলির পরীক্ষাও হচ্ছে সময়মতো।
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যকে দু'টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার প্রতিবাদে উপত্যকরা জুড়ে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ দমনে লক্ষাধিক নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করেছিল সরকার। ফলে কাশ্মীর জুড়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। সেই দুঃসময় কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় কাশ্মীর।