Air India Plane Crash: বৃহস্পতিবার দুপুরে আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর সারা দেশ যখন শোকাহত, তখন উল্টো ছবি কেরলে (Kerala)। এক সরকারি কর্মী এই দুর্ঘটনায় নিহত মহিলা সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন।

Air India Plane Crash Ahmedabad: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) প্রাণ হারানো এক মহিলা সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমানজনক পোস্ট করার অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন এক সরকারি কর্মী। এই ঘটনা ঘটেছে কেরলের (Kerala) কাসারগড় (Kasaragod) জেলার ভেল্লারিকুন্ডু তালুকে। বৃহস্পতিবার আমেদাবাদ বিমানবন্দর (Sardar Vallabhbhai Patel International Airport) থেকে উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Air India Plane Crash) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মেডিকেল কলেজ ভবনের উপর আছড়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ২৪০ জনেরও বেশি যাত্রী ও ক্রু মেম্বার প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় কেরলের নার্স রঞ্জিতা আর নায়ারও (Ranjitha R Nair) প্রাণ হারান। তাঁর সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন পোস্ট করার অভিযোগে কেরলের এক সরকারি কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই কর্মীর নাম এ পবিত্রন (A Pavithran)। তিনি কেরলের কাসারগড় জেলার ভেল্লারিকুন্ডু তালুক অফিসের জুনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট। তাঁর বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে।

শোকের পোস্টে অপমানজনক মন্তব্য

রঞ্জিতার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে করা এক পোস্টে পবিত্রন অপমানজনক মন্তব্য করেন। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ দেখা যায়। অনেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এরপর কেরলের রাজস্ব মন্ত্রী কে রাজন (Revenue Minister K Rajan) হস্তক্ষেপ করেন। তিনি কাসারগড় জেলা প্রশাসক ইম্পাশেখর কে-কে অবিলম্বে ওই কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাজস্ব মন্ত্রী জানান, ‘দুঃখজনক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রঞ্জিতা আর নায়ারকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করার জন্য ভেল্লারিকুন্ডু তালুকার জুনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট পবিত্রনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ধরনের জঘন্য কাজ একজন সরকারি কর্মীর জন্য অশোভন। বিষয়টি আমার নজরে আসার পরেই তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বারবার অপমানজনক পোস্ট পবিত্রনের

পবিত্রনের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়। এর আগে প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক ই চন্দ্রশেখরনের (E Chandrasekaran) বিরুদ্ধে অপমানজনক পোস্ট করার জন্য তাঁকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেই সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ মাত্র এক মাস আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু পবিত্রন তাঁর ভুল থেকে শিক্ষা নেননি। জনগণের প্রতিবাদের মুখে পবিত্রন তাঁর অপমানজনক পোস্ট মুছে ফেললেও, তাঁকে সরকারি চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার দাবি উঠেছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।