সংক্ষিপ্ত
প্রকাশ জাভড়েকর কেরলের মানুষের রেশন আর পেনশনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বলেন, চলতা সপ্তাহে রাজ্য সরকার বলেছেন এনআইসি সার্ভারে প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে।
কেরলের এলডিএফ সরকার নিজেদের ব্যর্থতার দায় কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপাতে চায়। কেন্দ্রীয় সরকারের ভাল পরিকল্পনাগুলিতে কেরল সরকার গুরুত্ব দেয় না। পাল্টা রাজ্যের প্রকল্প বলে চালাতে চায়। সরকারের এই মনভাবের তীব্র নিন্দা করে বিজেপি। পাশাপাশি এই সস্তা রাজনীতিতে কেরল সরকারের কোনও উপকার হবে না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতা তথা সাংসদ প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বর্তমানে কেরল বিজেপির ইনচার্জও। তিনি বলেছেন কেরল সরকারের এজাতীয় পদক্ষেপ রাজ্যের মানুষ বেশিদিন মেনে নেবে না।
প্রকাশ জাভড়েকর উদাহরণ হিসেবে কেরলের মানুষের রেশন আর পেনশনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বলেন, চলতা সপ্তাহে রাজ্য সরকার বলেছেন এনআইসি সার্ভারে প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে। কিন্তু আসল ঘটনা হল অব্য। সমস্যা এনআইসি সার্ভারে নয়, এটি শুধুমাত্র সফ্টওয়্যার বজায় রাখে। কিন্তু কেরল রাজ্যের ডেটা সেন্টারের সর্ভারগুলির সঙ্গে এটি যুক্ত। রাজ্য সরকার রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ। আর সেই কারণে বর্তমানে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারে ওপর দায় চাপাচ্ছে। কারণ এনআইসি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। তবে কেন্দ্রের কাছে পিডিএস হোস্টিং রয়েছে। যেটি রাজ্য ডেটা সেন্টারে বিদ্যমান সার্ভার।
রেশন নিয়ে সমস্যা
কেরলের ডেটা সেন্টারে বিদ্যমান সার্ভারগুলি পিডিএস অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজনগুলি হোস্ট করে। সাত বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে, বলে আপগ্রেড করা হয়েছে। রেশনেপ জন্য পিওএস সিস্টেম চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বে। এনআইসি অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করেছে, যা ব্যবহার করা হচ্ছে। ২২টি রাজ্যে এনআইসি ব্যবহার করা হচ্ছে। কেরল সরকারকে আপগ্রেড ও পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কেরল সরকার তাতে কান দেয়নি। রাজ্য সরকার কেরলের জনগণকে না জানিয়ে পিডিএস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পেনশন নিয়ে সমস্যা
প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, কেরল সরকার ঘোষণা করেছে তারা রাজ্য সরকার পরিচালিত অক্ষয় কেন্দ্রগুলি থেকে পেনশন প্রকল্প চালাবে। একচেটিয়াভাবে পেনশনভোগীদের জন্য অক্ষয় কেন্দ্রের অধিকার দেওয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। হাইকোর্ট অক্ষয় কেন্দ্রের পরিষেবায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বলেছেন রাজ্য সরকার সাধারণ পরিষেবাকেন্দ্রের অন্য সংস্থার মাধ্যমে এই প্রকল্পটি আপাতত চালাক। আদালত বলেছে, পেনশনভোগীদের জীবনরেখা সফ্টওয়্যারের অ্যাক্সেস করা উচিৎ, যাতে তারা সুবিধেটি পেতে পারে।