সংক্ষিপ্ত
কেরালার নরবলি মামলায় ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে শনিবার।এবার অভিযুক্তদের জমি খনন করে মিললো বেশ কয়েকটি হাড়।
কেরালার নরবলি মামলায় ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে শনিবার।এবার অভিযুক্তদের জমি খনন করে মিললো বেশ কয়েকটি হাড়। যদিও হাড়গুলি মানুষের কিনা তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবুও অভিযুক্তদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি ও এই ঘটনা ধামা চাপা দেবার আপ্রাণ চেষ্টা আরও ঘনীভূত করছে রহস্যকে।
শনিবার কেরালার পাঠানামঠিট্টা জেলার এলানাথুর গ্রামের এক অভিযুক্তের জমি খনন করা শুরু করে মামলার তদন্তকারী দল । তদন্তের সময় অভিযুক্তদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিল যে হয়তো তারা আরও একাধিক লোককে বলি দিয়েছেন। কবর দেবার সম্ভাবনাটিও পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে পারছিলেন না তারা কোনোমতেই । আর অভিযুক্তদের অনেক জমি- জায়গা থাকায় এই সন্দেহই আরও ঘনীভূত হয়। তাই শনিবার ক্যাডাভার কুকুর ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলের উপস্থিতিতেই শুরু হয় খনন অভিযান। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি হাড়। তবে সেগুলি মানুষের হাড় কিনা তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
দুই মহিলাকে হত্যা করে তাদের দেহটি ৫৬ টি টুকরোয় কেটে সেই মাংস রান্না করে খেয়ে ফেলার অভিযোগে মোহাম্মদ শফি, ভগবাল সিং ও তার স্ত্রী লায়লাকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে কেরালা পুলিশ। এরপর উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় সেই দুই মহিলাকে জোর করে বলি দিয়েছিলেন তারা। আর সাক্ষ্য- প্রমান লোপাটের উদ্দেশ্যেই তাদের রান্না করে খেয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই তিন অভিযুক্ত।
শনিবার দুপুর ২ তো নাগাদ শুরু হয় পরিদর্শন। দুই মৃতদেহ বিশেষজ্ঞ কুকুর মায়া ও মারফিকে দিয়ে আগে শোঁকানো হয় সিংয়ের বিস্তৃত ১.৫ একর জমি। খননকার্যের সুবিধার্থে ২ টি জেসিবিও আনা হয় ঘটনাস্থলে।দীর্ঘ খননকার্যের পর জমি থেকে উদ্ধার হয় ২ টি হাড়। এই হাড়গুলি ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য।
সিট আধিকারিকরা দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুমান করেন যে এর নেপথ্যে আরও হত্যাকান্ড আছে।কারণ জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে মূল অভিযুক্ত রাশিদ সারা রাজ্য জুড়ে ঘুরে বেড়াতেন সম্ভাব্য শিকারের সন্ধানে। আর বিগত ৫ বছরে কেরালার পাথানামথিট্টা জেলা থেকে ১২ জন এবং এরনাকুলাম জেলা থেকে ১৪ জন মহিলা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাও বিদ্যমান । সেই সূত্র জুড়েই সিট আধিকারিকরা দাবি করেন যে "আরও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।"
শুক্রবার, এসআইটি কোচিতে শফির বাড়ি এবং হোটেলে হানা দেয়।তদন্তের সময়, শফির স্ত্রী নাবিজা বলেছেন যে তিনি গত সপ্তাহে রাশিদ তাকে ৪০,০০০ টাকা দিয়ে বলেন তার পুরানো গাড়িগুলির নিষ্পত্তি করতে। এমনকি দ্বিতীয় শিকারের কাছ থেকে উদ্ধার করা সোনাগুলি তিনি বন্ধক রেখেছিলেন এমন তথ্যও উঠে এসেছে।, পুলিশ এর্নাকুলামের এক পাওনাদার দালালের কাছ থেকেও মোট ৪০ টি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে।শুধুই কি কুসংস্কার নাকি এর নেপথ্যে আছে অর্থের লোভ জানতে এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা
আরও পড়ুন ‘জামা খোলো’, নাবালিকাকে কড়া আদেশ শিক্ষকের! লজ্জায় গায়ে আগুন দিল ঝাড়খণ্ডের নবম শ্রেণির ছাত্রী
আরও পড়ুন হত্যার উদ্দেশ্যেই কী ভূস্বর্গে ফিরিয়ে আনা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের? জঙ্গি হানার পর প্রশ্ন কেন্দ্রকে