সংক্ষিপ্ত

  • বাবা-মায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদ বা তাঁদের পুনর্বিবাহ সন্তানদের মনের ওপর প্রভাব ফেলে
  • এমনটাই মনে করেন মনোবিদদের একাংশ
  • বা-মার বিচ্ছেদের পর সমাজে এই নিয়ে নানা কথা শুনতে হয় সন্তানদের
  • সমাজের পরোয়া না করেই মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন কাড়া পোস্ট করল এক যুবক

বাবা-মায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদ বা তাঁদের পুনর্বিবাহ সন্তানদের মনের ওপর বেশখানিকটা প্রভাব ফেলে- এমনটাই মনে করেন মনোবিদদের একাংশ। কারণ বাবা-মার বিচ্ছেদের পর সমাজে এই নিয়ে নানা কথা শুনতে হয় সন্তানদের। আর এর ওপর যদি বাবা কিংবা মা আবার বিয়ে করেন তাহলে তো আর কথাই নেই। চারিপাশের মানুষজন এমন রে রে করে ওঠেন, তাতেই অনেকখানি প্রভাব পড়ে সন্তানের মনে। 

কিন্ত্্ু সমাজের পরোয়া না করে, কে কী বলবে তার তোয়াক্কা না করেই মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন কাড়া পোস্ট করল কেরলের এই যুবক। তাঁর পোস্টে ফুটে উঠেছে তাঁর মায়ের সুখে থাকার কথা। কেরলের কোল্লামের বাসিন্দা গোকুল শ্রীধর-এর এই পোস্ট ইতিমধ্যেই মন কেড়েছে নেটিজেনদের। গত মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর ছবি নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করে সকলকে জানান তাঁর মায়ের বিয়ের কথা। পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে লেখেন যে, এখনও এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা দ্বিতীয় বিয়ে ঠিক মেনে নিতে পারেন না। এই নিয়ে কারওর মনে কোনও সংশয় থাকলে তাঁরা যেন এই পোস্ট এড়িয়ে যান সেই কথাও সাফ জানিয়ে দেন গোকুল। 

কিন্তু তাঁর মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্তের পিছনে যে কতখানি বেদনা লুকিয়ে রয়েছে সেই নিয়েও অকপট স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেছেন গোকুল। তিনি লেখেন শুধু তার মুখের দিকে চেয়েই তাঁর ওপর ঘটে চলা যাবতীয় শারিরীক নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করেছে তাঁর মা। তাঁকে এমনভাবে মারধর করা হত যে, মাঝে মাঝে কপাল ফেটে রক্তও পড়ত, তবুও তাঁর মা কেবল ছেলের দিকে তাকিয়েই সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করে চলত। কেন এত অত্যাচার সহ্য করছে মা, সেই কথা জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁর মা হেসে উত্তরদ দিত যে ছেলের জন্য তিনি সবকিছুই সহ্য করতে পারেন। তাঁর পোস্টের প্রতিটি ছত্রে উঠে এসেছে ছেলের জন্য এক মায়ের আত্মত্যাগের কথা। 

বিশ্বকাপের মরশুমে ঝালমুড়ির বিশ্বায়ন, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

তাঁর এই পোস্টে রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছে নেটিজেনরা। তাঁর এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। তাঁর এই পোস্টে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজারেরও বেশি মন্তব্য পড়েছে এবং পোস্টটি শেয়ার করেছেন প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।