সংক্ষিপ্ত

  • দেশে ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিপজ্জনক
  • কেরলে ১০জন আক্রান্ত এই ভাইরাসে
  • সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা

একে করোনা ভাইরাসে রক্ষা নেই, তায় জিকা দোসর। এখন এমনই অবস্থা ভারতের। দেশে ক্রমশ ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস। সবার প্রথমে কেরল থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই ১০ জন সেখানে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত। জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমের দাবি এই ভাইরাসটি ছোঁয়াচে। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে। তাহলে কি করোনার পর আরও এক মহামারীর সামনে দাঁড়িয়ে ভারত। প্রশ্নটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। 

কেরল থেকে পাওয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে, পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে মোট ১৩টি নমুনা গিয়েছিল কেরল থেকে। যার মধ্যে ১০টির রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে খবর। জিকা ভাইরাস কেরলে দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

সারা শরীর পাথর হয়ে যাচ্ছে, বিরল রোগে আক্রান্ত পাঁচ মাসের ছোট্ট মেয়ে

কীভাবে ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস

জিকা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এডিস মশার মাধ্যমে। খুব দ্রুত এই ভাইরাসটি ছড়ায়। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে যদি এডিস মশা কামড়ায়, তার মাধ্যমেই ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। সংক্রমণ ঘটেছে, এমন কোনও রোগীকে এডিস মশা কামড়ানোর মধ্য দিয়ে এর স্থানান্তর হয়। পরে ওই মশাটি সুস্থ মানুষকে কামড়ালে, তিনিও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এভাবেই একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে জিকা ভাইরাস। 

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ 

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথমে জ্বর আসে। সেই জ্বর ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে গায়ে ব়্যাশ বের হয়। চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে, অর্থাৎ হতে পারে কনজাংকটিভাইটিস। শুরু হয় গায়ে হাত পায়ে ব্যাথা ও মাথা ব্যাথা।  

আকাশ থেকে আচমকা আক্রমণ, মুহুর্তে সব শেষ- বিশ্বের চমকে দেওয়া ড্রোন হামলা এক নজরে

ক্যামেরার সামনেই মহিলার শাড়ি টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা, নির্বাচনের নামে ধুন্ধুমার যোগীরাজ্যে

জিকা ভাইরাস ক্ষতি করতে পারে গর্ভস্থ সন্তানের। ভ্রুণের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে এই ভাইরাস। গর্ভবতী মহিলারা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শিশু বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুর মস্তিষ্ক স্বাভাবিকের থেকে ছোট আকারের হতে পারে। বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে শিশুর। ভারতে প্রথম জিকা প্রবেশ করে ২০১৭ সালে। তখন আমদাবাদ থেকে জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার খবর আসে। সেই বছর তামিলনাড়ুতেও জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মেলে।