সংক্ষিপ্ত
- স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহৃত কিশোরী
- তামিলনাড়ুর চা বাগান থেকে উদ্ধার দেহ
- এক যুবক উত্যক্ত করত কিশোরীকে
- প্রেমে প্রত্যাক্ষাত হয়ে খুনের সিদ্ধান্ত
কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন। এবারের ঘটনাস্থল ঈশ্বরের নিজের দেশ কেরল। কোচির কল্লুরের বাসিন্দা ১৭ বছরের শ্র্রী (নাম পরিবর্তিত) গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটিকে সেদিন স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন তার বাবা। কিন্তু সেখানে মেয়েক না পাওয়ায় এরন্নাকুলাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
সেদিন রাতেই ওই পরিবারের কাছে ফোন আসে। জানান হয় তামিলনাড়ুর ভাল্লাপারাইয়ের জঙ্গল এলাকায় পাওয়া গিয়েছে কিশোরীটির দেহ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ সনাক্ত করেন পরিজনরা।
কিশোরীকে অপহরণ করে এই খুনের ঘটনায় উঠে আসছে ২৬ বছরের সফর নামে এক তরুণের নাম। দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে হয়রানি করছিল যুবকটি। এমনকি তার ছবি বিকৃত করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে কিশোরীকে অপহরণ করে গাড়িতে নিয়ে পালাচ্ছিল সফর। সেজন্য একটি গাড়িও চুরি করে যুবকটি। এদিকে মেয়েকে না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিশোরীর বাবা। এই অবস্থায় ত্রিশুরের আথিরাপল্লিতে এক যুবককে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যেতে সন্দেহ হয় তামিলনাড়ু পুলিশের। ভাল্লাপারি চেকপোস্টে গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে সফরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভেঙে পড়ে সে। জানায় কিশোরী তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করায় চা বাগানে তাকে খুন করেছে সফর।
তামিলনাড়ু পুলিশের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থেল যায় কেরল পুলিশ। ভাল্লাপারি চেক পোস্টের কাছে চা বাগানে শুরু হয় তল্লাশি। সেখানেই উদ্ধার হয় স্কুলের পোশাক পরা কিশোরীর দেহ।
কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর মেয়ের পিছু নিয়েছিল সফর। সেই কারণে তিনি নিজেই মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যেতেন। এমনকি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করায় মেয়েটির ছবিও বিকৃত করেছিল ওই যুবক।