সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের আরও চারটি রাজ্যে ভোটগণনা চলছে
- কোভিড বিধি মেনে কঠোর নিরাপত্তায় চলছে ভোট গণনা
- তামিলনাড়ুতে ক্ষমতা দখলের পথে ইউপিএ
- কেরলে ক্ষমতা দখলের পথে বামেরা
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের চার রাজ্যের বিধানসভার ভোট গণনা চলছে। সকাল ৮টে থেকে শুরু হয়েছে গণনা। ভোট গণনার প্রথম তিন ঘণ্টা শেষে দেখা যাচ্ছে কেরলে ক্ষমতায় ফিরছে বাম দলের এলডিএফ। কেরলে প্রতিবার সরকার বদল হয়, কিন্তু ৪০ বছর পর কেরলে মিথ ভাঙার পথে। অসমে বিজেপি জোটের জয় নিশ্চিত দেখাচ্ছে। যদিও গণনার এখনও অনেকটা সময় বাকি। তবে যেদিকে প্রবণতা অসমে ফের বিজেপিই ক্ষমতায় আসছে।
১) অসমে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ। বিজেপি, অসম গণ পরিষদ জোট ৭৬টি আসনে জয়ী/এগিয়ে। ইউপিএ এগিয়ে ৪৮টি আসনে। এই প্রথম অসমে কংগ্রেসের বাইরে কোনও দল টানা দু'বার রাজ্যে ক্ষমতায় এল।
২) কেরল (১৪০ আসন) এসেছে ফলের প্রাথমিক প্রবণতা। বামেদের জোট এলডিএফ এগিয়ে ৮৯টিতে। কংগ্রেসের জোট ইউডিএফ এগিয়ে ৪৪টিতে। বিজেপি এগিয়ে ৪টি আসনে, অন্যানরা ৩টি-তে। ম্য়াজিক ফিগার ৭১।
৩) তামিলনাড়ুতে ক্ষমতা দখলের পথে ইউপিএ। ডিএমকে-কংগ্রেস জোট অর্ধেকের বেশি আসনে এগিয়ে।
৪) পুদুচেরতে ভাল ফলের দিকে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের আরও চারটি রাজ্যে ভোটগণনা চলছে। কোভিড বিধি মেনে কঠোর নিরাপত্তায় চলছে ভোট গণনা। অসমে পরপর দু বার সরকার গড়ার লক্ষ্যে নেমেছে বিজেপি। কংগ্রেসের আশা পুরনো দুর্গ ফেরানোর। কেরলে আবার বামেদের কাছে মিথ ভাঙার লড়াই। ভগবানের আপন দেশে প্রতিবার সরকার বদল হয়। তাই এবার সেই নিয়ম মেনে বামেদের হারার কথা। তামিলনাড়ুর দুই রাজনৈতিক স্থপতি করুনানিধি, জয়ললিতার মৃত্যুর পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচন। আন্নার অভাব ঢেকে সিংহাসনে ফেরাই চ্যালেঞ্জ এআইডিএমকে-র।
অন্যদিকে, এম কে স্ট্যালিনকে মুখ করে ভোটে দাঁড়ানো ডিএমকে-র লড়াই ক্ষমতা দখলের। মাত্র ৩০ আসনের ছোট্ট পুদুচেরি বিধানসভায় বিজেপি সরকার গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী। এখন দেখার বাংলা ছাড়া দেশের বাকি চার রাজ্যে ফল কী হয়।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এই রাজ্যের বিধানসভার ভোট গণনা। করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে অসমের গণনা কেন্দ্রগুলিতে বিশেষ নজর। বিজেপি-র কাছে চ্যালেঞ্জ সরকার ধরে রাখার। ২০১৬ সালে প্রথমবার অসমে সরকার গড়ে বিজেপি। ২০১৯ লোকসভাতেও ফল ভালই হয় বিজেপি-র। এবার নির্বাচনের আগে মনে করা হচ্ছিল বিজেপি অনেকটা এগিয়ে থেকে শুরু করবে। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে, নির্বাচন যত কাছে এগিয়েছিল মনে ততই কংগ্রেস লড়াইয়ে ফিরেছিল। হেমন্ত বিশ্বশর্মার সাংগঠনিক দক্ষতা, আর মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই বিজেপি-র সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।