সংক্ষিপ্ত

তিন দিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে অমৃতপাল সিং-এর স্ত্রী কিরণদীপ কউরকে । লন্ডন যাওয়ার পথে অমৃতসর বিমানবন্দরেই তাঁকে আটকানো হয়। এই ঘটনার তিনদিনের মাথায় আত্মসমর্পণ করেন খালিস্তানপন্থী নেতা। তবে কি স্ত্রীর টানেই ধরা দিলেন 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-এর প্রধান?

রবিবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং। পঞ্জাবের মোগা জেলার গুরুদ্বারের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের পক্ষ থেকে আপতত শুধু জানানো হয়েছে তাকে অসমের ডিব্রুগড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই রয়েছে 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-এর নেতার আরও আট সহোযোগী। উল্লেখ্য মাত্র তিন দিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে অমৃতপাল সিং-এর স্ত্রী কিরণদীপ কউরকে । লন্ডন যাওয়ার পথে অমৃতসর বিমানবন্দরেই তাঁকে আটকানো হয়। এই ঘটনার তিনদিনের মাথায় আত্মসমর্পণ করেন খালিস্তানপন্থী নেতা। তবে কি স্ত্রীর টানেই ধরা দিলেন 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-এর প্রধান?

'ইন্ডিয়া টুডে'-এর তথ্য অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় মোগা শহরে পা রাখেন অমৃতপাল সিং। নিজেই পুলিশকে ফোন করে এই তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর রবিবার সকালেই আত্মসমর্পণ। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। পঞ্জাব প্রসাশন সূত্রে জানা যাচ্ছে অমৃতপালযেঁ আপাতত অসমের ডিব্রুগড়ে নিয়ে যাওয়া হবে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যেই জেলবন্দী 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-এর আরও আট কর্মী। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার সকালে টুইট বার্তায় অমৃতপালের গ্রেফতারির কথা জানায় পঞ্জাব পুলিশ। রাজ্যবাসীর কাছে কোনও ধরণের গুজবে কান না দিতে এবং শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে অনুরোধও করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসেই অনাবসী ভারতীয় কিরণদীপের সঙ্গে বিয়ে হয় অমৃতপালের। দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটেনে থাকতেন কিরণদীপ। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে সমাজমাধ্যমে অমৃতপালকে ফলো করতেন তিনি। নিজের থেকেই তাকে মেসেজও করেছিলেন। এর পরই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হয় দু'জনের। অবশেষে ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, অমৃতপাল যে কোনও দিন গ্রেফতার হতে পারেন সেকথাও তাকে জানিয়েছিলেন খালিস্তানি নেতা। তবে সেই আশঙ্কা এত তাড়াতাড়ি সত্যি হবে তা ভাবেননি।

অমৃতপাল সিং বৃহস্পতিবার একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে, তিনি ‘পলাতক’ নন এবং শীঘ্রই বিশ্বের সামনে উপস্থিত হবেন। প্রকাশিত ভিডিওটি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “আমি গতকাল একটি ভিডিও আপলোড করেছি। এটি মানুষের উদ্দেশে দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণ মনে করে যে, ভিডিওটি পুলিশ হেফাজতে তৈরি করা হয়েছে, কারণ আমি ভিডিওতে কথা বলার সময় এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলাম। আপনারা আগের ভিডিওগুলি দেখতে পারেন, আমি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে খুব বেশি কথা বলি না।” তিনি আরও বলেন, “যারা মনে করেন যে, সে পালিয়ে গেছে, বা বন্ধুদের ছেড়ে চলে গেছে, তারা সেই ভাবনাটি মন থেকে সরিয়ে দিন। খুব তাড়াতাড়িই আমি বিশ্বের সামনে হাজির হব। আমি এমন ব্যক্তি নই যে, বিদেশে গিয়ে ভিডিও করে।” বৈশাখী উপলক্ষ্যে নিজের বার্তাগুলি বড় আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিজের ভক্তদের কাছে আবেদন জানান স্বঘোষিত ‘শিখ ধর্মগুরু’।