জম্মু-কাশ্মীরের কিশ্তওয়ার জেলায় মেঘভাঙার ফলে আকস্মিক বন্যায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে।

জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার সোসাইটি গ্রামে আজ ভোররাতে ভয়াবহ মেঘভাঙার ফলে আকস্মিক বন্যায় বিরাট ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই সিআইএসএফ জওয়ান সহ কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়াও, ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তাদের খোঁজে উদ্ধারকারী দল তৎপর রয়েছে।

জোরদার উদ্ধার অভিযান চলছে

এই ঘটনাটি হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত মাতা চণ্ডী মন্দিরে যাওয়ার মাছাইল মাতা যাত্রা পথে ঘটেছে, যার ফলে যাত্রীরা ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন বাহিনী (NDRF), সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার পদক্ষেপ:

জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে এই দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, "মেঘভাঙা কবলিত এলাকা থেকে খুব ধীরে ধীরে তথ্য আসছে। তবে, জম্মু-কাশ্মীরের ভিতরে এবং বাইরে থেকে সমস্ত সম্ভাব্য উৎস উদ্ধার অভিযানের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।"

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শোকপ্রকাশ:

এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক প্রকাশ করেছেন। "কিশতওয়ারে মেঘভাঙা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের জন্য আমার সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। প্রয়োজনীয় সকল সাহায্য প্রদান করা হবে," তিনি বলেছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-এর বক্তব্য:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রাজ্যপাল মনোজ সিনহার শোকপ্রকাশ:

জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল মনোজ সিনহা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বেসামরিক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সাহায্য নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তীর্থযাত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং আকস্মিক বন্যায় আটকে পড়া লোকজনকে কর্তৃপক্ষ পিছু হটতে সতর্ক করছে।