সংক্ষিপ্ত


দাদুর মত রাহুল বাজাজও ছিলেন গান্ধীজির অনুগামী।  তাঁর দাদু জামলাল বাজাজ সবরমতী আশ্রমে যেতেন। সেখানে গান্ধীজির সহজ সরল জীবনযাত্রা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল। 

ভারতের বিশিষ্ট শিল্পপতিদের মধ্যে একজন ছিলেন রাহুল বাজাজ (Rahul Bajaj)। তাঁর নেতৃত্বে এক নতুন দিগন্তে এনেছিল বাজাজ অটো (Jajaj Auto)। রাহুল বাজাজ স্বাধীনতা সংগ্রামী জামলাল বাজাজের (Jamlal Bajaj) নাতি। তাঁর বাবা ছিলেন একাধারে রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব অন্যদিকে শিল্পপতি কমলায়মন বাজাজ। রাহুল বাজাজ তাঁর দাদু জামলাল বাজাজ গান্ধীজির অনুগত ছিলেন। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিলে। কংগ্রেসের টিকিটে তিনি রাজ্যসভাতেও গিয়েছিলেন।  দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণেও (Padma Bhushan) সম্মানও পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাদু ১৯২৬ সালে বাজাজ গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। সেই সংস্থার দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাহুল বাজাজ। 

দাদুর মত রাহুল বাজাজও ছিলেন গান্ধীজির অনুগামী।  তাঁর দাদু জামলাল বাজাজ সবরমতী আশ্রমে যেতেন। সেখানে গান্ধীজির সহজ সরল জীবনযাত্রা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল। তারপর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে  নিয়ে প্রায়ই গান্ধীজির আশ্রমে আসতেন। সেই থেকেই গান্ধী পরিবার ও বাজাজ পরিবারের মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যা এখনও অটুট রয়েছে। 

দাদু ও বাবার পথে চলে দেশের মানুষের উন্নয়ন আর সুবিধে করে দেওয়ার লক্ষ্যেই ছিল তাঁর। তাঁরই নেতৃত্বে বাজাজ অটো বদলে দিয়েছিল মধ্যবিত্তের জীবন। অন্যদিকে টুহুইটারের জন্য বাজাজ অটো ভারতের আইকনে পরিণত হয়েছিল। বাজাজ চেতক, বাজাজ স্কুটার থেকে এম৮০  শহরের পাশাপাশি গ্রামের জীবনযাত্রাতেও একটি বিরাট পরিবর্তন এনেছিল। ১৯৬৫ সালে তিনি বাজাজ অটোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালে বাজাজ অটোর সিইও হন তিনি।  টানা পাঁচ দশক তাঁরই তত্বাবধানে উন্নতির শিখরে উঠেছিল বাজাজ অটো। গত বছর দায়িত্ব ছাড়লেও সংস্থাক উপদেষ্টার পদে ছিলেন তিনি। 

শুধু শিল্পকর্মই নয়। রাজনীতিত সঙ্গেও রাহুল বাজজাজের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। কংগ্রেসের সমর্থনে রাহুল বাজাজ  রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন ২০০৬-১০১০ সালে। ২০০১ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে ফোর্বস পত্রিকায় বিলিয়নারদের তালিকাতেও স্থান পেয়েছিলেন তিনি। 

কলকাতায় একটি মাড়োয়ারি পরিবারে  জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাহুল বাজাজ। দিল্লি র সেন্ট স্টিফেন কলেজ ও মুম্বইয়ের  গর্ভমেন্ট ল কলেজে পড়াশুনা করেন। পরবর্তী পড়াশুনা হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের। তাঁর স্ত্রী রূপা বাজাজ। ২০১৩ সালে তিনি মারা যান। রাজীব বাজাজসহ আরও দুই সন্তান তাঁর। 

রাহুল বাজাজ শিল্পপতিদের একটি অনুষ্ঠানে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন অমিত শাহের সঙ্গে। তিনি বলেছিলেন, ইউপিএ সরকারের সমালোচনা করার অধিকার ছিল সকলের। কিন্তু বিজেপির আমলে তেমন কোনও প্রশ্ন কেন করা যায় না। তার উত্তরও দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, রাহুল বাজাজের এই প্রশ্নের পর আর কেউ বলতে পারবে না যে কেন্দ্রীয় সরকারকে কেউ ভয় পায়। কারণ বিজেপির আমলে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় কোনও হস্তক্ষেপ কেউ করে না। এনিয়ে গুঞ্জন রয়েছে দেশজুড়ে। 

মার্কিন রাইফেল হাতে ভারতীয় সেনার ছবি ভাইরাল, জেনে নিন আসল গল্পটা

অনুপ্রাণিত মন্তব্য স্বাগত নয়, হিজাবকাণ্ডে আমেরিকার সমালোচনা বিদেশ মন্ত্রকের

১০০ কোটির টেন্ডার চাওয়ালাকে, বিজেপির নিশানায় মহারাষ্ট্র সরকার