কুম্ভমেলা যোগী সরকার আয় করবে ২,০০০,০০০,০০০,০০০ টাকা, বদলে যাবে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতি
- FB
- TW
- Linkdin
মহাকুম্ভ
১২ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ। কুম্ভেমেলার পৌরাণিক কাহিনি হল-কুম্ভকে কেন্দ্র করেই দেবতা আর অসুরদের যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধের সময় কুম্ভ থেকে চারটি ফোঁটা অমৃত পৃথিবীতে পড়ে গিয়েছিল। যার একটি ফোঁটা হয়েছিল প্রায়াগরাজে। বাকি তিন ফোঁটা অমৃত পড়েছিল হরিদ্বার, নাসিক আর উদ্দয়িনে। চারটি শহরই হিন্দুদের কাছে পুণ্য তীর্থ কেন্দ্র
ইতিহাস বলছে
ইতিহাস অনুযায়ী হর্ষবর্ধন খ্রিস্টপূর্ব ৬৪৪ সালের দিকে এলাহাবাদে কুম্ভ মেলার আয়োজন শুরু করেন।
ভৌগলিক গুরুত্ব
প্রয়াগরাজে গঙ্গা,যমুনা আর সরস্বতী নদীর সঙ্গম। তাই ভৌগলিক গুরুত্ব অনেক। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সঙ্গমে ডুব দিয়ে স্নান করলে পবিত্র অর্জন হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম মেলা
বিশ্বের বৃহত্তম মেলা বলা যেতে পারে কুম্ভমেলাকে। প্রাচীন এই মেলা। এবার ৪০ কোটি মানুষ আসতে পারে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মোট জনসংখ্যার থেকে বেশি।
কুম্ভমেলার বাজেট
১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। তলবে ৪৫ দিন ধরে। এই মেগাইভেন্টের জন্য যোগী আদিত্যনাথ ৭০০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে।
আয়ের সম্ভাবনা
২০২৫ সালের মহাকুম্ভ থেকে উত্তরপ্রদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিসেব বলছে ৪০ কোটি দর্শনার্থী যদি প্রত্যেকেই ৫০০০ টাকা করে ব্যায় করে তাহলেই ২ লক্ষ কোটি টাকা আয় হতে পারে।
জিডিপি বাড়বে
কুম্ভমেলা বদলে দিতে পরে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতি। মেলার কারণে প্রকৃত জিডিপি ১ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আশা করছে প্রশাসন।
গড় ব্যায় হতে পারে
সংবাদ সংস্থা আইএনএস জানিয়েছে প্রতি ব্যক্তির গড় ব্যায় ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তাতে আয় হবে দ্বিগুণ।
২০১৯এ অর্ধকুম্ভ
২০১৯ সালে অর্ধকুম্ভের সময় ২৪ কোটি তীর্থযাত্রী এসেছিল। সেই সময় আয় হয়েছিল ১.২ লক্ষ কোটি টাকা।
খাবার বিক্রি করে লক্ষ
কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স ) অনুসারে, প্যাকেজজাত খাবার, জল, বিস্কুট, জুস এবং খাবার সহ খাদ্য ও পানীয় সামগ্রিক বাণিজ্যে ২০,০০০ কোটি টাকা যোগ করতে পারে।