সংক্ষিপ্ত
- দোপসাং নিয়ে আলোচনা চায় ভারত
- সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা
- দুটি পেট্রোলিং পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা
- ২০১৩ সাল থেকেই এখানে চিনের শক্ত ঘাঁটি
খুব তাড়াতাড়ি হতে পারে ভারত ও চিন সামরিক বৈঠক। দ্বাদশতম বৈঠকের দিন নির্ধারণ করবে দুই দেশের সেনা কর্তরা। তবে আগামী বৈঠকে ভারত যে দোপসাং উপত্যকা নিয়ে চিনের ওপর চাপ বাড়াতে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্রের খবর দোপাংস উপত্যকার গোগরা. হটস্প্রিং থেকে চিনা সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেনা কর্তারা। এই এলাকায় ২০১৩ সাল থেকেই একাধিক সমস্যার ওপর পড়তে হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীকে। সূত্রের খবর ২০১৩ সাল থেকেই দোপসাং-এর বেশ কয়েকটি চেকপোস্টে ভারতকে টহল দিতে বাধা দিয়ে আসছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মি।
আপনি কি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, আপনার হাতের স্মার্টফোনটি দেবে কোভিড ১৯এর সন্ধান ...
সাউথ ব্লকের এক কর্মকর্তার মতে গত ২৫ জুন ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজনের ভার্চুয়াল বৈঠকেই হটস্প্রিং (১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট) আর গোগরা (১৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট) নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দুটি স্ট্যান্ডঅফ পয়েন্টই কুগ্রাং নদী আর চ্যংচেমো নদীর নিকটবর্তী। এই এলাকা থেকে ২০২০ সালের ১৭-১৮ জুন চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে প্যাংগং হ্রদের তীরে এগিয়ে এসেছিল।
গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড টিকার গাইডলাইন, জেনে নিন কীভাবে দেওয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন
২০১৩ সাল থেকেই দৌলতবেগ ওল্ডি আর দক্ষিণ দোপসাং বালেজের ফ্রিকশন পয়েন্টটি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না প্রবীণ সেনা কর্তরা। এটি স্থানীয় স্তরে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকেই চিনা সেনা বাল্ক অঞ্চলে ১০-১৩ নম্বর পেট্রোল পয়েন্টে ভারতীয় সেনার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। গতবছর তৈরি হওয়ার উত্তেজনের পরেও বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারত-চিন দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে এখনও টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। বেশ সেনা অপসারণের মধ্যেই দুই দেশের সেনা বাহিনী বেশ কয়েকটি জায়গায় চোখে চোখ রেখে অবস্থান করছে। পূর্ব লাদাখ সেক্টেরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন ১৫৯৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই দেশের সেনা বাহিনী কড়া নজরদারী চালাচ্ছে।
টাকা দিয়ে 'ফ্রি টিকা' শিলিগুড়িতে, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানা
গতবছর চিনা সেনার আগ্রাসনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব লাদাখ সেক্টরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তৎপর হয়। শুরু হয় কড়া নজরদারী। চিনা সেনার পাল্লায় ভারতীয় সেনা বাহিনী এককদম এগিয়ে দখল করে বেশ কয়েকটি কৌশলগত উচ্চস্থান। তাতেই বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে পিছিয়ে যেতে হয় চিনা সেনাকে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়েছিল যে শীতকালেও পূর্ব লাদাখ সেক্টারে সেনা জওয়ান মোতায়েন রাখা হয়েছিল। চরম শীর আর খারাপ প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সীমান্ত সুরক্ষায় ব্রতী হয়েছিল ভারতীয় জওয়ানরা।