সংক্ষিপ্ত
- লালুপ্রসাদ যাদবের শারীরিক অবস্থার অবনতি
- কিডনির কর্মক্ষমতা মারাত্মক ভাবে কমে গিয়েছে
- এর সঙ্গে রয়েছে ডায়াবিটিস ও প্রেসার
- প্রবীণ নেতার সুগার ও প্রেশার বারবার ওঠানাম করছে
গুরুতর অসুস্থ রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। তাঁর চিকিৎসা চলছে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে কিডনির কর্মক্ষমতা মারাত্মক ভাবে কমে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের সুপারিন্টেনডেন্ট চিকিৎসক বিবেক কাশ্য়প জানিয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় ইতিমধ্যে আট সদস্যের এক মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসক উমেশ প্রসাদের নেতৃত্বে কাজ করছে এই মেডিক্যাল বোর্ড।
আরও পড়ুন: দিল্লির হিংসা নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ কংগ্রেস, উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের
প্রয়োজনে লালুপ্রসাদ যাদবকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। চিকিৎসক বিবেক কাশ্যপ আরও বলেন, "রিমসে কোনও নেফ্রোলজিস্ট নেই, সেকরাণে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে নামি নেফ্রোলজিন্টদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তাইরপরেই লালুপ্রসাদ যাদবকে স্থানান্তরের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।"
গুরুতর কিডনির অসুখে ভুগছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে তাঁর কিডনির ৬৩ শতাংশ বিকল হয়ে গিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে ডায়াবিটিস ও প্রেসার। ৭১ বছরের প্রবীণ নেতার সুগার ও প্রেশার বারবার ওঠানাম করছে। আর তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কিডনিতে।
আরও পড়ুন: পিচ রোলারের স্টিয়ারিং থেকে তরমুজ চাষ, মাহির ভাইরাল ভিডিওতে মাত নেট দুনিয়া
পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ১৪ বছরের সাজা হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের। ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে রাঁচির বিরসা মুণ্ডা জেলে বন্দি ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শারীরিক অনুস্থতার কারণে গত এক বছর ধরে রিমসে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিকে লালুর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পাওয়া মাত্রই আরজেডি শিবিরে আশঙ্কা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।