সংক্ষিপ্ত
- উপত্যকায় আবারও সক্রিয় লস্কর জঙ্গিরা
- ইতিমধ্যেই ১ মহিলাসহ ৩ জঙ্গিকে গ্রেফতার
- বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি
- বারামুল্লায় গ্রেনেড হামলার ভিডিও প্রকাশ
জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা। ধীরে ধীরে উপত্যকায় শক্তি বাড়াতে শুরু করেছিল। একাধিকবার হামলার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। বারবারই জঙ্গিদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তা আরও একবার প্রমান করল সোমবার লস্কর ই তৈবার তিন জঙ্গি সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেফতারের পরই।
সোমবার রিয়াসি জেলার পুলিশ সুপার রশ্মি ওয়াজির জানিয়েছেন, তিন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তিন জনই ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর হ্যান্ডেলার মহম্মদ কাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। মহম্মদ কাশেম ১৮ বছর আগে উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একটা সময় সে রীতিমত সক্রিয় ছিল ভূস্বর্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তদন্তের সুবিধের জন্য ইতিমধ্যেই সিট গঠন করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর।
আইএসআই ঘনিষ্ট ওই ব্যক্তিদের যোগাযোগ রাখা, এদেশে তাদের পথ দেখানো ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে বেশ কয়েকজন তাদের সাহায্য করেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জন সন্দেহভাজেনর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জম্মুর একজন মহিলা, সেই মহিলা আবার পাকিস্তানের আইএসআই ঘনিষ্ট কাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। পাকিস্তান থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছে বলেও জেরায় স্বীকার করেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন সরকারি কর্মী, একজন শ্রমিক ও একজন ব্যবসায়ী রয়েছে। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হবে। কারণ বেআইনি কিছু লেনদেন হয়েছে বলেই সন্দেহ করছে স্থানীয় প্রশাসন। এই ঘটনা সামনে আসার পর আরও তৎপর হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয়েছে তল্লাশি।
অন্যদিকে এদিন বারামুল্লা জেলায় জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালায়। আর সেই হামলায় ৬ স্থানীয় বাসিন্দা ঘায়েল হয়েছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সেনাবাহিনীর কনভয় লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু তাদের লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়।