সংক্ষিপ্ত

বিশ্ব জুড়ে যেভাবে সন্ত্রাসবাদের রমরমা বাড়ছে, তাতে শুধু ভারত নয়, বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই এই সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ হতে হবে।

সন্ত্রাসবাদ (terrorism) নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে ভারতকে (India)। এমনই সাবধানবাণী শোনালেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (Lieutenant General) সৈয়দ আতা হাসনাইন। উল্লেখ্য, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন শ্রীনগরে অবস্থিত ১৫ কোরের প্রাক্তন কমান্ডার ছিলেন। তিনি বর্তমানে কাশ্মীরের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। 

তাঁর দাবি বিশ্ব জুড়ে যেভাবে সন্ত্রাসবাদের রমরমা বাড়ছে, তাতে শুধু ভারত নয়, বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই এই সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ হতে হবে। কাশ্মীরের মাটিতে দীর্ঘদিন কাজ করার দরুণ যে অভিজ্ঞতা লেফটেন্যান্ট জেনারেলের হয়েছে, তার ভিত্তিতেই সতর্ক করেছেন তিনি। 

তিনি বলেছেন ২০১৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার সেরকম নাশকতার ইঙ্গিত দেয়। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় কীভাবে গোয়েন্দা বিভাগের সতর্কতা না মানার পরিণতি ভয়ানক হয়ে ওঠে। এই হামলা থেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে কাশ্মীরে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলো। 

সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেন আফগানিস্তান আশঙ্কা তৈরি করেছে। দেশ জুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিমাণ বাড়তে পারে। এজন্য সতর্ক ও কড়া হতে হবে ভারতকে। কোনও ভাবেই দায়সারা মনোভাব যেন বরদাস্ত করা না হয়। কারণ মসুল এবং রাক্কায় আইএসের পরাজয়ের পর থেকে বা ২০১৯ সালের ২১শে এপ্রিল এর শ্রীলঙ্কা ইস্টার ট্র্যাজেডি অথবা আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে কয়েকটি ঘটনা ছাড়া বিশাল বড় সন্ত্রাসবাদী ঘটনা বিশ্ব দেখেনি। 

হটনেসে টেক্কা দেন নায়িকাদেরও, চিনে নিন ভারতীয় নেতাদের এই সুন্দরী বউদের

দারুণ সুযোগ, দশম শ্রেণী পাশ করেই মিলবে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি

বিশ্ব জুড়ে তাই আপেক্ষিক ভাবে শান্তি এসেছিল বলেই মনে করা হচ্ছিল বলে জানান হাসনাইন। তিনি বলেন যে মনে করা হচ্ছিল বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিয়ান হয়ত সফল হয়েছে। কিন্তু  এই অঞ্চলের বাইরে আপেক্ষিক শান্তির এই সময়টি একটি বিশ্বাস এনেছিল যে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস নির্মূল করতে সফল হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু তা নয়। 

হাসনাইনের দাবি সন্ত্রাসবাদীরা আত্মগোপন করে থাকতে পারে দীর্ঘদিন। আজকের ডিজিটাল দুনিয়া এই ধরণের সংগঠনগুলো মাথা চাড়া দিতে অল্পসময় নেয়, যা আশঙ্কার। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর রয়েছে অসীম ধৈর্য। যতদিন স্লিপার সেল গোপন থাকবে এবং নেটওয়ার্ক বজায় রাখবে ততদিন তারা গা ঢাকা অবস্থায় থাকতে পারে। তাই আরও কড়া অবস্থান নিতে হবে ভারতকে।