সংক্ষিপ্ত
ইকরার সঙ্গে তাঁর প্রেমিক মুলায়ম সিং যাদবের আলাপ-প্রেম, পরিচয় সবই হয়েছিল অনলাইনে লুডো খেলার মধ্যমে। অনলাইনের প্রেমে বাস্তব পরণতি সুখের হয়নি ইকরার জীবনে।
দেশজুড়ে চর্চার কেন্দ্রে পাকিস্তানের বাসিন্দা সীমা হায়দার। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য সীমান্ত পার হয়ে এই দেশে এসেছেন। থাকতে শুরু করেছেন প্রেমিক শচীন মীনার সঙ্গে। ৩০ বছরের সীমা হায়দারের চার সন্তান রয়েছে। কিন্ত সব ছেড়ে তাঁর বর্তমানে মূল ভরসা ২৫ বছরের প্রেমিক শচীন। পাবজি খেলতে গিয়ে আলাপ। তারপরই সংসার ধর্ম ত্যাগ করে প্রেমের সন্ধানে কাঁটাতাঁরের বেড়া পেরিয়ে দিল্লিতে আসেন সীমা। অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। বর্তমানে জামিনে মুক্ত। সীমার মত আরও এক পাকিস্তানি মহিলা ভারতীয় প্রেমিকের টানে দেশ ছেড়ে এদেশে এলেও তাঁর প্রেম পরিণতি পায়নি। সেই মহিলা করবে ইকরা। তবে সীমা আর ইকরার প্রেমে মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।
সীমার সঙ্গে শচীনের আলাপ পরিচয় - প্রেম সবই রয়েছিল অনলাইনে পাবজি খেলার মধ্যে দিয়ে। তেমনই ইকরার সঙ্গে তাঁর প্রেমিক মুলায়ম সিং যাদবের আলাপ-প্রেম, পরিচয় সবই হয়েছিল অনলাইনে লুডো খেলার মধ্যমে। অনলাইনের প্রেমে বাস্তব পরণতি সুখের হয়নি ইকরার জীবনে। যদিও সীমার মতই ইকরা তাঁর প্রেমিক মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে প্রথম দেখা করেছিলেন নেপাল। কাঠমাণ্ডুর একটি মন্দিরে তাঁরা বিয়েও করেছিলেন।
কাঠমাণ্ডুতে বিয়ে করে ইকরা -মুলায়মের সঙ্গে সোজা বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন। সেখানেই নাম পরিবর্তন করে থাকতে শুরু করে ইকরা। জানুয়ারিতে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ইকরা আর মুলায়মকে গ্রেফতার করে। জেল বন্দি অবস্থায় ইকরা তার স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলেছিল। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। ইকরার শাশুড়িও ছেলে ও পুত্রবধূকে বাড়ি নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তাতেও সম্মত হয়নি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সীমান্ত পার করে ইকরাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মুলায়মের বাড়ি উত্তর প্রদেশে। কর্মসূত্রে সে থাকত বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও ইকরাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬। তবে ইকরাকে ফিরে পেয়ে তাঁর বাবা সিন্ধ প্রদেশ থেকেই ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। মেয়ের কাজের জন্য তাকে আর তার পরিবারকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যাইহোক সীমা হায়দার রয়েছে উত্তর প্রদেশে। তার ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। বর্তমানে জামিনে মুক্ত সীমা। কিন্তু উত্তর প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে সীমা আর শচীনের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তাদের বাড়ির চার ধারে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সীমার বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে আদালত আর বিদেশ মন্ত্রক। যদিও সীমাকে নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হচ্ছে। তারণ বেনামে ফোনে হুমকি পেয়েছে পুলিশষ। সীমাকে পত্রপাঠ পাকিস্তানে ফরত না পাঠানে মুম্বই হামলার মত জঙ্গি হামলা আবার হবে বলেও উর্দুতে বলা হয়েছে।