সংক্ষিপ্ত

ফের বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ

তবে চতুর্থ দফায় থাকছে আরও শিথিলতা

কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে প্রায় সব পরিষেবাই খুলছে

কী কী এখনও সারা দেশে নিষিদ্ধ থাকছে

 

রবিবার কেন্দ্রটি কোভিড-১৯ মাহামারির বিস্তার রোধ করতে দেশব্যাপী লকডাউনের মেয়াদ আরও দু'সপ্তাহের জন্য বাড়িয়ে দিল। ১৮ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চলা এই চতুর্থ দফার লকডাউনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি নতুন নির্দেশিকা-ও জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী লকডাউন ৪-এ কী কী পরিষেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে এবং কী কী পরিষেবা এখনও নিষিদ্ধ থাকবে তার সম্পূর্ণ তালিকা দেখে নেওয়া যাক -

 

লকডাউন ৪-এ যে যে পরিষেবা নিষিদ্ধই থাকবে সারা দেশে -

- সমস্ত দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। ছাড় দেওয়া হবে দেশীয় স্বাস্থ্য় পরিষেবা, দেশীয় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উড়ান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদিত উড়ানগুলিকে।

- মেট্রো রেল পরিষেবা।

- স্কুল, কলেজ, শিক্ষা / প্রশিক্ষণ / কোচিং প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। অনলাইন বা দূর শিক্ষার অনুমতি অব্যাহত থাকছে।

- হোটেল, রেস্তোঁরা, এবং অন্যান্য আতিথেয়তা পরিষেবাগুলি। স্বাস্থ্য / পুলিশ / সরকারী কর্মকর্তা / স্বাস্থ্যকর্মী / পর্যটকসহ আটকে পড়া ব্যক্তিবর্গ এবং কোয়ারেন্টাইন সুবিধার জন্য নেওয়া আবাসন পরিষেবাগুলি ছাড় পাবে। বাস ডিপো, রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলিরতে ক্যান্টিন চালানো যাবে না। রেস্তোঁরাগুলিকে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারির পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে।

- সমস্ত সিনেমা হল, শপিংমল, জিমনেসিয়াম, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার এবং অডিটোরিয়াম, বার, জমায়েতের হল, এবং অনুরূপ স্থানগুলি। স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং স্টেডিয়াগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে; তবে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

- সমস্ত সামাজিক / রাজনৈতিক / ক্রিড়া / বিনোদন / অ্যাকাডেমিক / সাংস্কৃতিক / ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ এবং বড় বড় মজলিস।

- সমস্ত ধর্মীয় / উপাসনার স্থান জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। ধর্মীয় জমায়েত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

 

যে যে ক্রিয়াকলাপ অনুমোদন পাচ্ছে -

কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে -

- রাজ্যগুলির বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পারস্পরিক সম্মতি সাপেক্ষে যাত্রী পরিবাহি যানবাহন এবং বাসের আন্তঃরাজ্য চলাচল।

- রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাত্রী পরিবাহী যানবাহন এবং বাসের অভ্যন্তরীণ চলাচল।

 

কনটেইনমেন্ট জোন, বাফার জোন, রেড-গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোন-এ -

- কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্যারামিটারগুলি বিবেচনার করে রেড, গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনগুলি চিহ্নিত করবে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার।

- রেড এবং অরেঞ্জ জোলগুলির মধ্যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশাবলী বিবেচনার করে কনটেইনমেন্ট জোন এবং বাফার জোন নির্দিষ্ট করবে জেলা প্রশাসন।

- কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় পরিষেবা অনুমোদিত হবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত  জরুরী অবস্থা এবং প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা ব্যতীত এই অঞ্চলগুলির ভিতরে লোক চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। এই অঞ্চল থেকে কেউ বাইরে যেতে এবং বাইরে থেকে এইসব অঞ্চলে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

- কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে, প্রয়োজন অনুসারে নিবিড় যোগাযোগের সন্ধান, ঘরে ঘরে নজরদারি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত হস্তক্ষেপ করা হবে।

- নাইট কারফিউ: প্রয়োজনীয় ক্রিয়াকলাপ ব্যতীত সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলিতে লোক-চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের এক্তিয়ারে থাকা সম্পূর্ণ অঞ্চলে ১৪৪ ধারার মতো যথাযথ বিধিগুলির আরোপ করে কঠোরভাবে উপরোক্ত বিষয় নিশ্চিত করবে।

- দুর্বল ব্যক্তিদের সুরক্ষা: ৬৫-ঊর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিরা, অন্যান্য অসুখ থাকা ব্যক্তিরা, গর্ভবতী মহিলা এবং অনূর্ধ্ব ১০ বছর বয়সী শিশুদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যগত দরকার ছাড়া বাড়িতেই থাকতে হবে।

- এই বিশেষভাবে নিষিদ্ধ করা বিষয়গুলি ছাড়া অন্যান্য সমস্ত ক্রিয়াকলাপ অনুমোদিত হবে।

- এছাড়া পরিস্থিতির মূল্যায়নের ভিত্তিতে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি বিভিন্ন অঞ্চলে অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে পারে বা প্রয়োজনীয় হিসাবে বিবেচিত এই জাতীয় বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।