ভোটঘোষণার পরের দিনই নির্বাচনের দিনক্ষণ বদলে দিল নির্বাচন কমিশন। জানানো হল অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমের গণনার সময়সূচি ৪ জুন থেকে পরিবর্তন করে ২ জুন করেছে।

নির্বাচন কমিশন ১৬ মার্চ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। সেই অনুযায়ী সারা ভারতে সাত দফায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশে আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য কমিশন নিরাপত্তার ব্যাপারে কঠোর হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের সময় নিরাপত্তার পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। জেনে রাখা ভালো যে নিরাপত্তার জন্য ৩.৪ লক্ষ CAPF কর্মী মোতায়েন করা যেতে পারে।

কিন্তু এরই মাঝে ভোটঘোষণার পরের দিনই নির্বাচনের দিনক্ষণ বদলে দিল নির্বাচন কমিশন। জানানো হল অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমের গণনার সময়সূচি ৪ জুন থেকে পরিবর্তন করে ২ জুন করেছে। প্রসঙ্গত, দুই রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ জুন। এ অবস্থায় ২ জুনের মধ্যে ভোট গণনা শেষ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৪ সালের ২ জুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, কমিশন অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমের রাজ্য বিধানসভার বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট সম্পর্কিত সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"

Scroll to load tweet…

অরুণাচলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পবন কুমার সাইন বলেছেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৭ মার্চ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২৮ মার্চ এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ মার্চ। সিইও বলেছেন যে ৫ জানুয়ারী, ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ৮,৮২,৮১৬ যার মধ্যে ৪,৩৩,৭৬০ জন পুরুষ এবং ৪,৪৯,০৫০ জন মহিলা৷ রাজ্যের ফটো ভোটার তালিকা এবং ভোটার ছবির পরিচয়পত্রের কভারেজ ১০০ শতাংশ। সিইও বলেছেন যে রাজ্য জুড়ে ২,২২৬টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন শনিবার ঘোষণা করেছিল যে সিকিমে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একযোগে ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এই হিমালয় রাজ্যে মাত্র একটি লোকসভা আসন এবং ৩২টি বিধানসভা আসন রয়েছে। ইসি জানায়, ২০ মার্চ নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি হবে, এরপর শুরু হবে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রক্রিয়া। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৭ মার্চ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৮ মার্চ। কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ মার্চ। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা (এসকেএম) সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এসডিএফ) মুখোমুখি হবে।