সংক্ষিপ্ত
দেড় দশক আগেও পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, কেরালায় সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ছিল সিপিআইএম। কিন্তু এখন কেরালার বাইরে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে শক্তি হারিয়েছে বামেরা।
ভারতের একমাত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৯৫১ সাল থেকে একই প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করছে সিপিআইএম। কাস্তে-হাতুড়ি-তারা প্রতীক সারা দেশে পরিচিত। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে যদি ফল ভালো না হয়, তাহলে পরের নির্বাচন থেকে পরিচিত প্রতীক নিয়ে লড়াই করার সুযোগ না-ও পেতে পারে সিপিআইএম। নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন ও ভোট পেতে হবে সিপিআইএম প্রার্থীদের। না হলেই দলীয় প্রতীক নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে সিপিআইএম-কে। পরের নির্বাচন থেকে হয়তো নির্বাচন কমিশনের দেওয়া অন্য কোনও প্রতীকের তালিকা থেকে বেছে নিতে হবে সিপিআইএম প্রার্থীদের। সেক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খাবে বামেরা।
সিপিআইএম-এর অস্তিত্বের লড়াই
আগেই জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে সিপিআই। এবারের লোকসভা নির্বাচন সিপিআইএম-এর কাছেও দলীয় প্রতীক বাঁচানোর লড়াই। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বেশি আসন ও ভোট না পেলে প্রতীক হারাতে পারে সিপিআইএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ কে বালন জানিয়েছেন, ‘এবারের নির্বাচনে বামেদের বরাবরের প্রতীক কাস্তে-হাতুড়ি-তারা থাকছে। এই প্রতীক অক্ষত রাখতে হলে নির্দিষ্ট শতাংশের ভোট বা নির্দিষ্ট সংখ্যক সাংসদ পেতে হবে। না হলে নির্বাচন কমিশন যে প্রতীক দেবে, সেই প্রতীকেই লড়াই করতে হবে। যদি বাম প্রার্থীরা বেশি ভোট না পান বা জিততে ব্যর্থ হন. তাহলে নির্দল প্রার্থীদের যে ধরনের প্রতীকে লড়াই করতে হয়, আমাদেরও সেরকমই প্রতীক বেছে নিতে হবে। তখন প্যাঙ্গোলিন, ইঁদুর ধরার কল, কাঁকড়া বিছে, অক্টোপাসের মতো প্রতীক থেকে আমাদের বাছাই করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রতীকই তখন আমাদের ভরসা হবে।’
কেরালাই ভরসা সিপিআইএম-এর
এখন শুধু কেরালাতেই ক্ষমতায় আছে সিপিআইএম। ফলে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য থেকে যত বেশি সংখ্যক আসন জয়ের লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বা ত্রিপুরায় আস পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Amit Shah: উড়ানের পরই নিয়ন্ত্রণ হারাল অমিত শাহের হেলিকপ্টার, দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও
Lok Sabha Elections 2024: দলবদল কংগ্রেস প্রার্থীর, ইন্দোরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাচ্ছে বিজেপি?