সংক্ষিপ্ত
লাভজিহাদিদের কোপে হিন্দু পাত্রীর সঙ্গে মুসলমান পাত্রের বিয়ে। বিয়ের কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিপত্তি বাধে। রীতিমত সমালোচনা শুরু হয়ে যায় বিয়ে নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিয়ার কার্ড ভাইরাল হয়ে যায়। আর তারপরেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কনে পক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হন। ২১ শতকে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল মাহারাষ্ট্রের নাসিক। গত ১৮ জুলাই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। এক হিন্দু মহিলার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল মুসলমান পুরুষের। গোটা ঘটনাকে লাভ জিহাদ হিসেবে বর্ণনা করে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য করে প্রতিবাদীরা।
'আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মত নিচ্ছি ', কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে কড়া ভাবে সতর্ক করল কেন্দ্র
এখানেই শেষ নয় পাত্রীর বাবা প্রসাদ আদগাঁওকর তাঁর নিজের সম্প্রদায়ের কাছে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ২৮ বছরেরর পাত্রী রসিকার সঙ্গে তাঁরই স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠি অসিফ খানের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। হিন্দু মতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন রসিকার বাবা। সেইমত একটি কার্ডও ছাপা হয়। সেখানে হিন্দু পাত্রীর নামের পাশে ছিল মুসলিম পাত্রের নাম। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য একটি হোটেলও বুক করা হয়েছিল। তাতেই লাভ জিহাদ আন্দোলনে সামিল ব্যক্তিরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের ওপরেও চাপ তৈরি করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তারপরই বাধ্য হয়ে পাত্রীর বাবা বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেন। তবে রসিকা আর আসিফ দুজনেই স্থানীয় আদালতে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরেছেন।
পাত্রীর বাবা জানিয়েছেন মেয়ের বিয়েতে পরিবারের কোনও আপত্তি ছিল না। এখানে ধর্মান্তকরণের কোনও চেষ্টা হয়নি। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কোনও পাত্র তাঁর কন্যাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। সেই সময়ই রসিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল স্কুলের সহপাঠী অসিফ। তাতেই দুই পরিবারের সম্মতি ছিল। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয়, এই রাজ্যে হিন্দুদের জন্যও আসছে লাভ জিহাদ আইন
রসিকা আর আসিফের বিয়ের কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই রসিবার আত্মীয় ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রবল আপত্তি জানায়। তাদের কথায় ভিন্ন ধর্মের বিয়েতে উৎসাহ না দেওয়াই ভালো। এতে অন্য মেয়েরাও সাহস পাবে ভিনধর্মীকে বিয়ে করতে। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করতে চাপ দেন তাঁরা। কনে পক্ষে তাঁর সমাজের পক্ষ থেকেও এজাতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলেও সূত্রের খবর।