সংক্ষিপ্ত
সোমবারই জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার রাজ্যসভার পদ ছাড়লেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লিউজিনহো ফেলেইরো।
খারাপ সময় তৃণমূল কংগ্রেসের। সোমবারই জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার রাজ্যসভার পদ ছাড়লেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লিউজিনহো ফেলেইরো। তাঁর জায়গায় নতুন সদস্যকে রাজ্যসভায় পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। গোয়া তৃণমূলের সভাপতি নির্বাচনের আগেই লুইজিনহোর পদত্যাগ একটি ধাক্কা বলেও মনে করা হচ্ছে। যদিও তিনি জানিয়েছেন শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি রাজ্যসভার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। এদিনই রাজ্যসভার চেয়ারপার্সেন জগদীপ ধনখড়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর লিইজিনহো ফেরেইরোকে নিয়ে দলের অন্দরে দূরত্ব বাড়ছিল। তিনিও দলের কাজকর্ম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছিলেন। এই অবস্থায় তাঁকে রাজ্যসভার পদ ছাড়তে বলা হয় বলেও সূত্রের খবর। তারপরই তিনি পদত্যাগ করেন। যদিও তৃণমূলের অন্য রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই পদত্যাগ করেছেন লিইজিনহো। এটা পুরোপুরি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেছেন, শারীরিক অবস্থার জন্য কয়েক দিন ধরেই রাজ্যসভায় আসছিলেন না তিনি। বার্ধক্যজনতি কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পদত্যাগ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লুইজিনহো ফেরেইরো কংগ্রেস নেতা ছিলেন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২১ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করেছিলেন তিনি। ২০২১ সাল থেকেই তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। গোয়াতে তৃণমূল লিইজিনহো ফেলেইরোর মত বর্ষীয়ান নেতার হাত থেকেই নির্বাচনী ময়দানে বিজেপি আর কংগ্রেসকে টক্কর দিতে নেমেছিল। কিন্তু গোয়া নির্বাচনে একটিও আসন পায়নি। বলা যেতে পারে যেভাবে মমতা আর অভিষেক গোয়াতে প্রচার করেছিলেন তার কোনও ছাপই পড়েনি ভোটবাক্সে।
সূত্রের খবব গোয়া নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর থেকেই তৃণমূল লুইজিনহোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিল। লিইজিনহোকে দলে নেওয়া একটি ভুল হলেও দলের অন্দরে শীর্ষ নেতত্ব বলেছিল। যদিও প্রবীন এই রাজনীতিবিদকে নিয়ে প্রকাশ্যে শীর্ষ নেতৃত্বে এখনও কিছুই বলেনি। তবে তার জায়গায় রাজ্যসভায় অন্য প্রতিনিধি পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।