সংক্ষিপ্ত
রাজ্য সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, বিমান ভ্রমণ করার সুবিধার প্রথম পর্যায়ে, মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রবীণ নাগরিকরা এই বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন ব্যাচে ভাগ ভাগ হয়ে বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন।
আকাশ পথে বিনামূল্যে ভ্রমণ করার সুযোগ, তবে সেই সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র বরিষ্ঠ নাগরিকরাই। সম্প্রতি এমনই সুবিধা চালু করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। ২১ মে, রবিবার এই রাজ্যের বত্রিশ জন প্রবীণ নাগরিককে নিয়ে ভারতে প্রথমবার শুরু হল এমন পরিষেবা।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দ্বারা পরিচালিত সরকারের একটি প্রকল্পের অধীনে আকাশপথে বিনামূল্যে তীর্থযাত্রা করার সুযোগ পাচ্ছেন বরিষ্ঠ নাগরিকরা। রবিবার ভোপাল থেকে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ৩২ জন যাত্রী। এই প্রথমবার এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা চালু করা তীর্থ-দর্শন যোজনার অংশ হিসেবে এই বরিষ্ঠ নাগরিকরা বিমানে ভ্রমণ করার সুযোগ পাচ্ছেন। রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান নিজে এসে ভোপালের রাজা ভোজ বিমানবন্দরে ২৪ জন পুরুষ এবং আট মহিলা সহ মোট ৩২ জন প্রবীণ নাগরিককে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।
২০১২ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই স্কিমটি চালু করেছিল যে, বয়স্ক মানুষরা বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে বিনামূল্যে তীর্থযাত্রা করার সুযোগ পাবেন, দেশের এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭.৮২ লক্ষ প্রবীণ নাগরিক তীর্থ যাত্রা করার সুযোগ পেয়েছে বলে উল্লিখিত রয়েছে। শিবরাজ সিং চৌহান সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, এই প্রকল্পের অধীনে তাঁর সরকার দ্বারা বিমানে ভ্রমণ করার সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই প্রকল্পের দ্বারা মধ্যপ্রদেশই হয়ে উঠল ভারতের প্রথম রাজ্য, যেখানে তীর্থযাত্রার জন্য প্রবীণ নাগরিকদের বিমান ভ্রমণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, বিমান ভ্রমণ করার সুবিধার প্রথম পর্যায়ে, মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রবীণ নাগরিকরা এই বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন ব্যাচে ভাগ ভাগ হয়ে বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন-
Wrestlers Protest: কুস্তিগীরদের আন্দোলনে নয়া মোড়, ফেসবুক পোস্টে শর্ত রাখলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ
Weather News: গলদঘর্ম পরিস্থিতির পরেই বৃষ্টির আশা, চলতি সপ্তাহে আরামদায়ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস
দিল্লি থেকে সন্ধ্যাবেলা রওনা দিলে কলকাতায় পৌঁছে যাবেন পরদিন দুপুরেই, দ্রুততম এক্সপ্রেসওয়ে মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই