সংক্ষিপ্ত

বুধবার, মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এক 'মহিলা' কনস্টেবলকে তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন (Sex Change) করে 'পুরুষ' হওয়ার অনুমতি দিল সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) রাজেশ রাজোরা (Rajesh Rajora) জানিয়েছেন, সেই রাজ্যে এই প্রথম কোনও সরকারি কর্মী এই অনুমতি পেলেন।
 

রাজ্যে এই প্রথম, সারা দেশের নিরিখেও একেবারেই বিরল ঘটনা। বুধবার, মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এক 'মহিলা' কনস্টেবলকে তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন (Sex Change) করে 'পুরুষ' হওয়ার অনুমতি দিল সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) রাজেশ রাজোরা (Rajesh Rajora) জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশে কোনও সরকারি বিভাগে কোনও মহিলা কর্মীকে লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হল। অন্যান্য পুরুষ কনস্টেবলদের মতোই তিনি সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন। 

২০১৯ সালেই, ওই কনস্টেবল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ সদর দফতরে একটি হলফনামা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন করার জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। সঙ্গে একটি সরকারী গেজেটে তাঁর ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর, পুলিশ হেডকোয়ার্টার সেই বিষয়ে অনুমোদন দেওয়ার জন্য আবেদনপত্রটি স্বরাষ্ট্র বিভাগে পাঠিয়েছিল। স্বরাষ্ট্র বিভাগের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানীরা তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, ওই 'মহিলা' কনস্টেবল আশৈশব লিঙ্গ-পরিচয় সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। ভারতের আইন অনুসারে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন ভারতীয় নাগরিকের তাঁর নিজের লিঙ্গ বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। এরপর, স্বরাষ্ট্র বিভাগ, সেই আইনের উপর ভিত্তি করেই পুলিশ সদর দফতরকে, ওই কনস্টেবলের লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়ার ছাড়পত্র দেয়। 

আরও পড়ুন - Killer Mother: ধর্ষণের অপমান, সহ্য করতে না পেরে নাবালিকা মা খুন করল ৪০ দিনের সন্তানকে

আরও পড়ুন - RSS: 'আরএসএস আধাসামরিক বাহিনী নয়', সংঘের চরিত্র স্পষ্ট করলেন মোহন ভাগবত

আরও পড়ুন - Mahua Liquor: ‘হেরিটেজ লিকার’-এর তকমা পেল মহুয়া মদ, মধ্যপ্রদেশে বৈধ হল এই নেশা দ্রব্য

হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে রাজ্য স্বরাষ্ট্র বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজেশ রাজোরাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ওই কনস্টেবল শৈশব থেকেই লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। তিনি, মধ্যপ্রদেশের এক গ্রামের বাসিন্দা। ছোট থেকেই পুরুষের মতো আচার-আচরণ এবং কাজ করতেন বলে, সকলে, তাঁকে 'টমবয়' বলে ডাকত। সাত বছর আগে মহিলা কোটায় কনস্টেবল পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তিনিই তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। পুলিশের মতো সাহসী কাজ করেন বলে তাঁর পরিবার অত্যন্ত খুশি। 

তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, সমাজের পক্ষে তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া সহজ হয়নি। প্রথম থেকেই তিনি যে পুরুষের মতো করে কথা বলতেন, সেইসব লোকে প্রশংসাই করত। কিন্তু যখনই তিনি বলেছিলেন যে আমি লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য সার্জারির করতে চান, তখন আর কারোর মুখে কথা সরেনি। সকলেই ভেবেছিল, একজন মহিলার পক্ষে পুরুষ হতে চেয়ে, তার লিঙ্গ পরিবর্তন করা মোটেই ঠিক নয়। তারা এর বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু একটি সামাজিক সংগঠন তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছে। তাঁর সিদ্ধান্ত মতো এগিয়ে যেতে তারা সবসময় তাঁর পাশে রয়েছে।