Maharashtra Doctor Rape Case: মহারাষ্ট্রে ডাক্তারকে ধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশের জালে খোদ পুলিশ। গ্রেফতার মহারাষ্ট্র পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Maharashtra Doctor Rape Case: মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসককে লাগাতার ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার সেই পুলিশ আধিকারিক। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর গোপাল বাদানেকে। রাতেই তাকে জেল হেফাজতে পাঠায় পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে উঠেছে তরুণীকে নির্যাতন ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ। যার কারণে হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখে বৃহস্পতিবার রাতে আত্মঘাতী হন ওই ডাক্তার তরুণী। ধৃত সাব ইনস্পেক্টর গোপাল বাদানে ছাড়াও তরুণীর হাতে লেখা সুইসাইড নোট থেকে আরও তিন পুলিশ আধিকারিকের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সুইসাইড নোটে কী লিখেছিলেন ওই তরুণী? 

জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই। এ যেন রক্ষকই ভক্ষক। মৃতা ডাক্তারের হাতের তালুতে লেখা সুইসাইড নোটে মিলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। যে পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সুইসাইড করেছেন ওই তরুণী ডাক্তার তাকে আগেই বরখাস্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনার মাস চারেক আগে মহারাষ্ট্রের তিন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ এনে ডিএসপি-কে চিঠি দিয়েছিলেন ওই তরুণী। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই মহিলা চিকিৎসক। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিশের।

সূত্রের খবর, মৃতা তরুণীর হাতের তালুতে লেখা সুইসাইড নোটে মহারাষ্ট্রের তিন পুলিশ আধিকারিকের নাম রয়েছে। নির্যাতিতা তরুণী মহারাষ্ট্রের ফল্টন উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে হাতের তালুতে লেখা সুইসাইড নোটে তিনি অভিযোগ করে লিখেছেন যে, ''গত চার মাসে গোপাল বাদানে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশের এক আধিকারিক তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে গিয়েছেন। তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো ওই পুলিশ অফিসার।''

আরও জানা গিয়েছে যে, পেশায় ডাক্তার ওই তরুণী সুইসাইডের আগে মহারাষ্ট্রের ডিএসপির কাছে তিন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তার ওপর লাগাতার অত্যাচার চালানোর অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লেখেন। এমনকি গোপাল বাদানে সহ বাকি তিন পুলিশ আধিকারিক তাকে প্রচণ্ড মানসিক ভাবে হেনস্থা করত বলেও চিঠিতে জানিয়েছে ওই তরুণী। এদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও তারপরেও কমেনি তরজা। বিষয়টি নিয়ে মহারাজনীতিতে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে কানাঘুঁষো।

Scroll to load tweet…

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।