রাস্তায় এখন যেখানে সেখানে রিল বানাতে হয়ে যান সাবধান। এতে আসতে পারেন আপনি পুলিশের নজরে, হতে পারেন আপনি গ্রেপ্তার।

আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ট্রেন্ড চলছে, রিল বানানো। মানুষের একটা শখ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবার কারোর এই এই রিলসের দ্বারা ইনকামের রাস্তা খুলে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যবে থেকে রিলস বানিয়ে বা ব্যক্তির প্রত্যেক মুহূর্তের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তার সবকিছু রিলসের মাধ্যমে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতে শুরু হয়েছে এবং এর দ্বারা অনেক মানুষের ইনকামের রাস্তাও খুলে গেছে। কিন্তু এর ফলে নানা রকম ঝুঁকিও বেড়েছে। রিল বানাতে গিয়ে অনেক রকম সমস্যায় মানুষকে পড়তেও হয়েছে আবার কারোর বা জীবনহানিও হয়েছে।

পার্ক হোক, রাস্তা হোক, মল হোক বা অন্য কোনো পাবলিক প্লেস, লোকজন ক্যামেরা অন করে সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও রেকর্ড করতে শুরু করে। এই প্রবণতাটা তরুণদের মধ্যে বেশ দেখা যাচ্ছে, তবে সবকিছুরই একটা সীমা আছে এবং অনেক সময় এই শখ সমস্যাও তৈরি করতে পারে।

আপনি দেখেছেন যে প্রায়শই পাবলিক প্লেসে রিল শুট করার কারণে ভিড় জমে যায়। কখনও ট্র্যাফিক বন্ধ হয়ে যায়, আবার কখনও মানুষের চলাচল প্রভাবিত হয়।

অনেক সময় এই কাজ অন্যদের গোপনীয়তার উপরও প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে আইনি সমস্যাও তৈরি হতে পারে। এখন প্রশ্ন হল যে রিল বানানো তো আজকাল বেশ সাধারণ ব্যাপার। তাহলে এতে সমস্যা কি? আদপে আইন স্পষ্ট করে বলছে যে পাবলিক প্লেসে এমন কোনো কাজ যা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বা সুবিধার ক্ষতি করে, তা অপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।

নতুন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অর্থাৎ বিএনএস-এর নতুন ধারা অনুযায়ী, জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করা, অন্যদের অসুবিধা দেওয়া বা অশান্তি সৃষ্টি করার মতো কাজের ওপর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

যদি রিল বানানোর সময় আপনি রাস্তা আটকান, ট্রাফিক বন্ধ করেন বা ভিড় জমান, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র ধারা ৩৫৩ এবং ৩৫৫-এর মতো বিধানের অধীনে পুলিশকে জনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীর ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই গ্রেফতারির জন্য পরোয়ানারও প্রয়োজন হয় না।অর্থাৎ, যদি আপনি রিল বানানোর জন্য নিয়ম ভাঙেন, তাহলে পুলিশ ঘটনাস্থলেই ব্যবস্থা নিতে পারে। এছাড়াও, রিল বানানোর সময় যদি অন্য কারও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয় বা তাদের অনুমতি ছাড়া ভিডিও তৈরি করা হয়, তবে এটিও একটি আইনি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।