সংক্ষিপ্ত

মেঘালয়ের মাটি থেকে মমতার ঘোষণা কংগ্রেসে থাকলে লড়াইটা করা যায় না। কংগ্রেস আমাদের বহিষ্কার করেছিল কারণ আমরা ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম।

মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের দিন কয়েক আগে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট। মেঘালয়ের তুরার অন্তর্ভুক্ত রাজাবালা এলাকায় জনসভা থেকে করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ের নির্বাচন জিততে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস শিবির।

এদিন মেঘালয়ের মাটি থেকে মমতার ঘোষণা কংগ্রেসে থাকলে লড়াইটা করা যায় না। কংগ্রেস আমাদের বহিষ্কার করেছিল কারণ আমরা ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। আজও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আজও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। রোজ বিজেপি ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাদের কড়া নাড়ছে। বিজেপি মনে করে সবাই ওদের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত। তবু তৃণমূল লড়ছে। কিন্তু কংগ্রেসের ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার কোথায়? ওরা তো লড়াইটাই করতে পারে না। এদিন মেঘালয়ের সভা থেকে মমতা বিজেপি এবং কংগ্রেসকে কার্যত একাসনে বসিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, মেঘালয়কে দিল্লি থেকে যেমন বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, তেমনি কংগ্রেসও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

একাধিকবার অন্য রাজ্যে কংগ্রেসের ভোটবাক্সে ভাগ বসিয়ে শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। আবার সেই কংগ্রেসের জন্যই শেষমুহূর্তে গোয়ার ভোটারদের নিজেদের দিকে টেনে আনতে ব্যর্থ হয়েছে মমতার দল। ত্রিপুরাতেও শুরুটা ভাল হলেও, ভোটের আগে কংগ্রেস-সিপিএমের জোটের জন্যই খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে তৃণমূল। শেষবেলায় মেঘালয়ে যাতে তেমন না হয়, কংগ্রেস-তৃণমূলের ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি বা এনপিপি যাতে সুবিধা না পেয়ে যায়, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

বস্তুত, গোয়া-ত্রিপুরার মতো মেঘালয়ের মাটিতেও কংগ্রেসের বড়সড় ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। মেঘালয় কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতাই যোগ দিয়ে ফেলেছেন তৃণমূলে। মমতা এবার চাইছেন মেঘালয়ের কংগ্রেসি ভোটারদের মন জয় করতে। এদিন মমতা বলেন শুধু মেঘালয় নয় উত্তর পূর্বের সব কটি রাজ্যের রাজনীতিতেই প্রবেশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই মেঘালয়ে ভিশন ডকুমেন্টস প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, "এটা একটা বই নয়। যেখানে ১০ টি পয়েন্ট শুধু লিখে রাখা আছে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর আমরা এটা করেই দেখাবো। আমাদের মিশন মেঘালয়ে রাজ্যের মানুষের জন্যই কাজ করার কথা উল্লেখ আছে। সাধারণ মানুষের কথা শুনেই কাজ করা হবে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিরোধী হবে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তৃণমূল স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।