সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মম্বইয়ের বিশিষ্টদের দেখা করেন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন রাজনৈতিকভাবে তিনি বিজেপিকে এই দেশ থেকে দূর করে দিতে চান।
ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেও যে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সংগঠন ছড়িয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তার থেকে যে সরে আসছেন না মুম্বইয়ের নাগরিক সমাজের (Mumbai Civic Society) সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার একদিনের সফরে মুম্বই (Mumbai Visit) গেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি মম্বইয়ের বিশিষ্টদের দেখা করেন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন রাজনৈতিকভাবে তিনি বিজেপিকে এই দেশ থেকে দূর করে দিতে চান। তাই তিনি এই লড়াই করছেন। তিনি আরও বলেন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দলের কাজ করছে। সমাজের বিশিষ্টজনেরও তাঁদের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। এই আবস্থায় প্রত্যেককেই কিছু কিছু দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট জনের সভাতেও খেলা হবে স্লোগান তোলেন মমতা।
এদিন মমতা বলেন তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও কেউ যদি সিদ্ধান্ত না নেয় কী করতে হবে তাহলে তিনি হাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন বিরোধীরা যদি বসে থাকে তাহলে বিজেপি ক্রমশই দিনে দিনে শক্তিশালী হবে। বর্তমানে সংসদে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন ত্রিপুরাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাঁর দলের কর্মীদের অনেক বাধা সহ্য করতে হচ্ছে। সেখানে আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিনের বৈঠকে নাম না করে গান্ধী পরিবারকেও নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন রাজনীতি একটি কন্টিনিউয়াস প্রসেস। বছরের আর্ধেক সময় বিদেশে থাকলে রাজনীতি কখন করবে? সর্বদা রাজনীতির ময়দান ছেড়ে চলে গেলে চলবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Parliament: ১২ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি, এক জোট হয়ে বিক্ষোভ বিরোধীদের
Covid 19: ২০২২-এ শেষ হবে করোনা মহামারি, তবে বড় চ্যালেঞ্জ টিকার বৈষম্য বলল WHO
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন তাঁর মূল লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু বাংলায় যদি কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে তাহলে তিনি কেন গোয়াতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না? তিনি আরও বলেছেন, রাজনৈতিক মাঠ ফাঁকা। এখানের বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। না হলেই বিজেপি আপনাকে পুরোপুরি নিশ্চিন করে দেবে। তিনি আরও বলেন সব আঞ্চলিক দলগুলি যদি একত্রিত হয়ে লড়াই করে তাহলেই বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব। মুম্বইতে বসেও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার থেকে শুরু করে জ্বালানি তেলের দাম কমানো- সব পদক্ষেপই বিজেপি সরকার নিয়ে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভয় পান। আর সেই কারণেই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমে যায়। নির্বাচনের পর আবারও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায় বলেও তিনি মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেন।
এদিনের বৈঠকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নমূলক প্রকল্প, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, বঙ্গবিভূষণসহ একাধিক প্রকল্পের কথা বলেন। এই রাজ্যে তাঁর সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী করে কাজ করতে তাও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলতেই তিনি অভ্যস্ত। কিন্তু তিনি হাঁটতেও ভালোবাসের বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি ইউএপিএ-এরও তীব্র সমানোচনা করেন। তিনি বলেন এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি এজেন্সির বিরোধী নন। কিন্তু বর্তমানে এজেন্সিগুলিকে ব্যক্তিগত আক্রোষ মেটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র বিরোধী বলেও জানিয়েছেন তিনি।