সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরির অফিসে পরপর তিনটি হুমকি ফোন। তদন্তে নামে পুলিশ। জানতে পারে ডি-গ্যাং-এর সদস্য ফোন করেছে।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নিতিন গড়করিকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নাম জড়াল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের। শনিবার নিতিন গড়করির অফিসে পরপর হুমকি টেলিফোন আসে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর কাছে থেকে টাকা চাওয়ারও অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সূত্রের খবর এই ঘটনায় যে ব্যক্তি ফোন করেছে সে ডি-কোম্পানি অর্থাৎ দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং-এর সদস্য বলে নিজেকে দাবি করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা চেয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।
সকাল ১১.২৫ থেকে ১২.৩০ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে নিতিন গডকরির খামলা এলাকার জনসংযোগ দফতরের ল্যান্ডলাইনে পরপর তিনটি হুমকি টেলিফোন এসেছিল। এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর মহারাষ্ট্র পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। বাড়ান হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি ও অফিসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নাগপুরে সাংসদ নিতিন গডকরি, তাঁর সেখানকার বাড়ি ও অফিসেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, যে ব্যক্তি ফোন করেছিল, সে টেলিফোন অপারেটকরে জানিয়েছিল সে ডি-গ্যাং-এর সদস্য। গডকরির কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা দাবিও করেছিল। পাশাপাশি হুমকি দিয়েছিল তার দাবি পুরণ না হলে সে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়বে। মন্ত্রীর ক্ষতি করবে। যে ব্যক্তি ফোন করেছিল সেই ব্যক্তি নিজের একটি মোবাইল নম্বর ও কর্নাটকের একটি ঠিকানাও শেযার করেছেন। যে ঠিকানা দিয়েছে সেখানেই টাকা পাঠান নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান খুনের অসামী এই ফোনকলটির সঙ্গে যুক্ত। সেই ব্যক্তি বর্তমানে বেলগাভির জেলে বন্দি। তার একটি মোবাইল ফোনের অ্য়াক্সেস রয়েছে। সেই ফোন থেকেই সে জেলে বসে একাধিক ব্যক্তিকে ফোন করত আর টাকা তোলার কাজ করছ। সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই জেলে পাঠান হয়েছে ক্রাইমব্রাঞ্চের সদস্যদের।
ভারতের অনুমান বর্তমানে পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে আন্ডারওর্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। সেখান থেকেই সে অন্ধকার জগতের কাজকর্ম সারছে। দাউদ ইব্রাহিমের গোটা পরিবার সেখানেই রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয়। সম্প্রতি পাকিস্তানের শীর্ষ স্থানীয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধানকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম ও ২৬-১১ মুম্বই হামলার মূলচক্র হাফিজ সাইদ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। দুজনেই ভারতীয় নিরাপত্তার সংস্থাগুলির মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় রয়েছে। ভারতের বিশ্বাস দুজনকেই আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির প্রধান মহসিন বাট সম্প্রতি ভারতে এসেছিলেন। তিনি ইন্টারপোলের সাধারণ পরিষদের জন্য পাকিস্তানের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের অঙ্গ। তাঁকেই দাউদ ও হাফিস সাইদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তিনি কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিতে রাজি হননি। সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রশ্ন করেছিল দাউদ ও লস্কর ই তৈবার প্রধান হাফিদ সাইদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শুধু ঠোঁটে হাত রেখেছিলেন বাট।