দ্রুতগামী ট্রেনের মাথায় ঘুমোচ্ছিলেন ব্যক্তি। ঠিক ৫ ফুট উপরেই ছিল ১১০০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন। তারপরেই ঘটল হাড় হিম করা ঘটনা।

দ্রুতগামী ট্রেনের মাথায় ঘুমোচ্ছিলেন ব্যক্তি। ঠিক ৫ ফুট উপরেই ছিল ১১০০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন। তারপরেই ঘটল হাড় হিম করা ঘটনা। দৃশ্য দেখে রীতিমতো গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় জিআরপি-র। ঠিক কী হয়েছিল এইদিন?

তীব্র গতিতে ছুট ছিল গোরক্ষপুরগামী হামসফর এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের ছাদেই ঘুমোচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। আর একটু দেরি হলেই প্রাণ যেত। কিন্তু জিয়ারপির প্রচেষ্টায় কোনও মতে প্রাণ বাঁচল তাঁর। এই ভিডিওই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট মাধ্যমে।

মাথার উপরে বৈদ্যুতিক লাইন। গায়ে সামান্য লাগলেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হত তাঁর। প্রথমে তাকে মৃত বলেই ভেবেছিল জিআরপি কিন্তু পরে স্টেশন চত্বরের ওভারহেডেড বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে তাকে ট্রেনের ছাদ থেকে নামিয়ে আনা হয়। এর জন্য প্রায় ২০ মিনিট দেরিতে চলছিল ট্রেনটি।

Scroll to load tweet…

তবে কেন তিনি ছাদে উঠেছিলেন এ প্রশ্নের সঠিক কোনও উত্তর তিনি দিতে পারেননি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বছর তিরিশের ধৃত ওই যুবকের নাম দিলীপ। ফতেহপুরের বিন্দকি তেহসিলের ফিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। এ প্রসঙ্গে কানপুরের আরপিএফ স্টেশন ইন-চার্জ বিপি সিং জানান, যদি মাঝখানে কোথাও তিনি দাঁড়িয়েও পড়তেন, তাহলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হতে পারত। এর পাশাপাশি ওএইচই লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে ট্রেনের মধ্যেও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাই ওই যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেলওয়ে আইনের ১৫৬ ধারায় গ্রেফতারও করা হয়েছে দিলীপকে।