বেশ কিছু দিন ধরেই ঘরে বাইরে চাপের মুখে ছিলেন এন বীরেন সিং। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার সকালে নতুন দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন
অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠকের পরই পদত্যাগ করলেন মণিপুরের (Manipur)মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। দিল্লিতে বৈঠক করে ইম্ফলে ফিরেই তিনি ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রবিবার ইম্ফলে রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রায় দেড় বছর ধরেই অশান্ত মণিপুর। যে কারণে একাধিকবার এন বীরেন সিং-এর পদত্যাগেরও দাবি করেছে। কিন্তু গদি আঁকড়ে বসেছিলেন।
সূত্রের খবর বেশ কিছু দিন ধরেই ঘরে বাইরে চাপের মুখে ছিলেন এন বীরেন সিং। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার সকালে নতুন দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর দেখা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে। তারপরই ফিরে যান নিজের রাজ্যে। সেখানে গিয়েই তিনি পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কারণ হিসেবে পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, 'এত দিন মণিপুরের মানুষের সেবা করতে পেরেছি, এটা আমার কাছে সম্মানের। মণিপুরবাসীর স্বার্থ রক্ষার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ করা এবং নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।'
অন্যদিকে মণিপুর বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার চিন্তাভাবনা করছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় অসন্তুষ্ট বিজেপি বিধায়করা কংগ্রেসে চলে যেতে পারে বলেও আলোচনা শুরু হয়েছে বিজেপিরে। কংগ্রেসে না গেলেও অসন্তুষ্ট বিজেপি বিধায়করা এন বীরেন সিং-কে ভোট দিতেন না। আর সেই কারণেই পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। বীরেন সিং-এর কাছে।
২০২৩ সালে কুকি-জো আর মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে আশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। অশান্তির আগুন জ্বলেছে পাহাড়ি এই রজ্যে। বিধায়কের বড়িতেও হামলা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের টার্গেটও ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। যদিও তিনি জানিয়েছিলেন মণিপুরে শান্তি ফিরবে। আর তিনি আর্থাৎ এন বীরেন সিং তা ফেরাবেন। কিন্তু মণিপুরে শান্তি ফেরার আগেই ছাড়তে হল মণিপুরের মসনদ।
