সংক্ষিপ্ত
মণিপুরের হিংসা যেন থামছেই না। বছর ঘুরে গেলেও মণিপুরে এখনও (Manipur) হিংসা অব্যাহত। রবিবার, সশস্ত্র একদল দুষ্কৃতী অতর্কিতে হামলা চালাল সিআরপিএফ জওয়ান এবং মণিপুর পুলিশের যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর উপর।
মণিপুরের হিংসা যেন থামছেই না। বছর ঘুরে গেলেও মণিপুরে এখনও (Manipur) হিংসা অব্যাহত। রবিবার, সশস্ত্র একদল দুষ্কৃতী অতর্কিতে হামলা চালাল সিআরপিএফ জওয়ান এবং মণিপুর পুলিশের যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর উপর।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক সিআরপিএফ জওয়ানের। আহত হয়েছেন ৩ জন। মণিপুর পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার মনমুঙ্গ গ্রামে গুলি চলার খবর আসে। অভিযোগ পেয়েই রবিবার, দুষ্কৃতীদের সন্ধানে গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। তখনই সকাল ৯.৪০ মিনিট নাগাদ মণিপুর পুলিশ এবং সিআরপিএফের ২০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের উপর আচমকাই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিহারের বাসিন্দা তথা ৪৩ বছরের সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান অজয় কুমার ঝা-এর। যৌথ বাহিনীর আরও তিন সদস্য এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন জিবরাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর।
এদিকে রবিবার, ইম্ফল পূর্ব এবং পশ্চিম জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে একে-৫৬ রাইফেল, এসএলআর রাইফেল, বেশ কিছু পিস্তল, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং ২৫ রাউন্ড গোলাবারুদ।
সম্প্রতি মণিপুরে হিংসা নিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ নীতির কারণে উত্তরপূর্বের রাজ্যে কিছুতেই হিংসা থামছে না। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও কটাক্ষও করেন এই কংগ্রেস নেতা।
যদিও পাল্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) দাবি করেছেন যে, হিংসা রুখতে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় কাজ করছে ভারত সরকার। কিন্তু কী সেই প্রক্রিয়া তা অবশ্য জানাননি তিনি।
আর এইসব কিছুর মাঝেই এবার ফের হিংসার ঘটনা ঘটল মণিপুরে। রবিবার, দুষ্কৃতীদের অতর্কিত হামলায় নিহত হলেন এক সিআরপিএফ জওয়ান।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।