সংক্ষিপ্ত
এই নিয়ে শনিবার পর্যন্ত ইম্ফলকাণ্ডে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘুরিয়ে হেনস্থা এবং গণধর্ষণের ঘটনায় নাম উঠে এসেছে এক ১৯ বছরের যুবকের। শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে শনিবার পর্যন্ত ইম্ফলকাণ্ডে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে ধৃতের নাম ইয়ামলেমবাম নাংসিথোই।
প্রসঙ্গত, মণিপুরের দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে হাঁটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল বুধবার। সেই ভিডিওর জেরে উত্তাল গোটা দেশ। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, তারই মধ্যে আবার সামনে এল আরও একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও। সেখানে একটি ব্যক্তির মাথা কাটা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ডেভিড থিয়েক নামে এক কুকি ব্যক্তির মাথা কাটা অবস্থায় রয়েছে। বিষ্ণুপুর জেলার একটি আবাসিক এলাকার ঘটনা। বাঁশের লাঠি দিয়ে তৈরি একচি বেড়ার ওপর রাখা হয়েছে কাটা মাথা। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাঁচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। ডেভিড থিয়েক নামের ওই ব্যক্তি হত ২ জুলাই দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় মারা গিয়েছিল। সেই সময় আরও তিন জন প্রাণ হারিয়েছিল।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মোদী। পাশাপাশি সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যেও কড়া বার্তা শোনা গেল মোদীর গলায়। মণিপুরের ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে মোদী বলেছেন, 'মণিপুরের ঘটনায় আমার হৃদয় ক্রোধ এবং বেদনায় ভরে উঠেছে। যারা পাপ করছে তাদের জন্য গোটা দেশের বদনাম হচ্ছে।' পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মোদী। দেশের সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও। অভিযোগ আগে মহিলাদের একটি মাঠি গণধর্ষণ করা হয়েছে। এদিন এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত থাকা এজি আর ভেঙ্কটারমন ও এসজি তুষার মেহতার উপস্থিততে গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন। বলেছেন 'এটি শুধুমাত্র অগ্রহণযোগ্য । ' তিনি আরও বলেছেন, 'লিঙ্গ বৈষম্য ও হিংসাকে স্থায়ী করার জন্য সাম্প্রদায়িক বিবাদের সময় মহিলাদের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।' সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মণিপুরে মহিলাগের রাস্তায় হাঁটানোর ভিডিও দেখে তিনি অত্যান্ত বিরক্ত। তিনি বলেছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যদি পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ করতে দ্বিধা করবে না। তিবি আরও বলেন মণিপুরে যা হয়েছে যা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এটি ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনা সংবিধানের পরিপন্থী। পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার মণিপুর নিয়ে কী কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।