সংক্ষিপ্ত

মণিপুরের চুরাচাঁদপুর জেলায় ৩৭ বছরের বিবাহিত মহিলার হিংসার শিকার। তাঁর অভিযোগ জাতিগত হিংসার সময় একদল পুরুষ তাঁকে রাস্তায় আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছিল।

 

 

হিংসার মণিপুরে আবারও প্রকাশ্যে এল ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতনের ঘটনা। মে মাসে হিংসার শুরুর সময়ই এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। যৌন নিপীড়ণ বেঁচে যাওয়া নির্যাতিতা বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। সেখান থেকেই সম্প্রতি এফআইআর দায়ের করেছেন। তিনি যৌন নির্যাতনের বর্বরতার কথা বলে নির্যাতিতা বলেছেন, রাজ্যের বহু মহিলারই হিংসার শিকার। অনেকেই পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন সুবিচার পেতে।

মণিপুরের চুরাচাঁদপুর জেলায় ৩৭ বছরের বিবাহিত মহিলার হিংসার শিকার। তাঁর অভিযোগ জাতিগত হিংসার সময় একদল পুরুষ তাঁকে রাস্তায় আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছিল। সেই সময় তাঁর সন্তানরাও সঙ্গে ছিল। কিন্তু তাঁর ভগ্নিপতি আর বোনের তৎপরতায় তাঁর সন্তানরা প্রাণে বেঁচে যায়। কারণ দুই সন্তানকে নিয়ে তারা পলিয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন তাঁদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সেই উত্তিজিত মানুষের দল।

সংসদে মোদীর জবাবি ভাষণ বিকেল ৪টে, রণকৌশল ঠিক করতে রাজনাথদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

মহিলা আরও জানিয়েছেন, তাঁর আগে একাধিক মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই রিপোর্ট দেখেই তিনি ন্যায় বিচারের আশা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরও বলেন, জাতিগত হিংসার সময় মণিপুরের মহিলাদের কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, প্রথমে তিনি নিজেকে , নিজের পরিবার , পারিবারিক সম্মান বাঁচানোর জন্য নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে ভয় পেয়েছিলেন। গণধর্ষণের ভয়ঙ্কর স্মৃতি মুছে ফেলতে আর নিজের আব্রু খুইয়ে তিনি একাধিকবার আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার মহিলা বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংসদে মোদীর জবাবি ভাষণ বিকেল ৪টে, রণকৌশল ঠিক করতে রাজনাথদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

মহিলা জানিয়েছেন ৩ মে, যেদিন প্রথম হিংসার ঘটনা ঘটেছিল মণিপুরে সেদিনই তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় এক দল দুষ্কৃতী। তারপরই প্রাণ বাঁচাতে বোন -ভগ্নিপতি আর দুই সন্তানকে নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পিঠে বাচ্চাদের বেঁধে প্রাণ হাতে নিয়ে ছুঁটছিলেন। রাস্তাতে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। তারপরই এক দল দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। এই অবস্থায় বোন আর ভগ্নিপতি বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে যায়। মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে কিছু দূরেই গণধর্ষণের শিকার হন মহিলা। মহিলা আরও জানিয়েছেন পাঁচ থেকে ছয় তাঁকে অকথ্য গালিগালজ করে। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন , তাঁর বাড়ি ভস্মীভূত। বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন তিনি।

কালো স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে নারাজ স্ত্রী, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ আনায় কী বলল কোর্ট

মহিলা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ইম্ফল গিয়েছিলেন। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে অভিযোগ দায়ের পরিমর্শ ও সাহস দেন। নির্যাতিতা মহিলার প্রশ্ন-- তাঁক কী দোষ, কেন তাঁর ওপর এমন বর্বর অত্যাচার করা হল, কেন খোয়াতে হল আব্রু। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি তিনি চান বলেও জানিয়েছেন।