সংক্ষিপ্ত

২৮ মে পর মাত্র সাত দিনের মাথায় এই নিয়ে সেখানে দ্বিতীয়বার হামলা হল। প্রথমবার হামলায় কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেবারও কুকি জঙ্গিরা বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল।

 

রবিবার সকাল থেকে আবারও নতুন করে হিংসার আগুন ছড়াল মণিপুরে। নতুন করে জাতিগত দাঙ্গায় উত্তপ্ত হল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি। হিংসা বন্ধ করতে রাজি নয়, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা। সেই কারণে রবিবার সকালে তারা আগুন লাগিয়ে দেয় কংগ্রেস বিধায়ক-সহ ১০০টি পরিত্যক্ত বাড়িতে। যদিও মণিপুরের কুকি জঙ্গিরা সরকারের সঙ্গে এসওএস চুক্তি বা অপারেশন স্থগিত করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। তারপরই তারা পাহাড় থেকে নেমে আসে। কাকচিং জেলার সেরোতে একের পর এক বাড়়িতে জঙ্গিরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

গত ২৮ মে পর মাত্র সাত দিনের মাথায় এই নিয়ে সেখানে দ্বিতীয়বার হামলা হল। প্রথমবার হামলায় কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেবারও কুকি জঙ্গিরা বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল।

কংগ্রেসের যে বিধায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সেই কে রঞ্জিত, বলেছেন, হামলার সময় তিন জন বিজেপি বিধায়েক ঘটনাস্থল থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে সুগনুতে ছিলেন। তাঁরা হামলা বন্ধ করার জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি। মন্ত্রী ইউমনাম খেমচাঁদের নেতৃত্বে পাঁচ বিধায়কের একটি দল শনিবার বিকেল ৫টার সময় সুগনুতে গিয়েছিলেন। তাদের দেখে ক্ষোভ উগরে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকার রাজ্যের মানুষকে ও তাদের সম্পত্তি রক্ষা করে ব্যর্থ, কোনও পদক্ষেপ তারা নিচ্ছে না। কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন। পাশাপাশি স্থানীয়দের ক্ষোভ রয়েছে অসম রাইফেলের বিরুদ্ধে। নিকটবর্তী অসম রাইফেলসের ক্যাম্প দ্রুত সরিয়ে নেওয়ারও দাবি জানায় তারা।

যদিও দীর্ঘক্ষণ মন্ত্রী খেমচাঁদকে আটকে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা দাবি জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং -এর সঙ্গে দেখা করে স্থানীয়দের দাবির কথা স্পষ্ট করে জানাবেন। রবিবার সকাল পর্যন্ত প্রতিনিধি দল এলাকা ছেড়ে চলে আসে। এক প্রবীন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছিল সরকার চেয়েছিল বিধায়কর সেখানে রাত্রিবাস করুন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। যদিও খেমচাঁদ জানিয়েছেন, হিংসার ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা অসম রাইফেলসকে চায় না। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কুকি জঙ্গিরা পাড়া থেকে নেমে এসে হামলা চালিয়েছিল। অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ থাকলেও সেনা বাহিনী বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের কোনও অভিযোগ নেই। কাকচিং এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।