সংক্ষিপ্ত

মণিপুর সরকার আইজল-ইম্ফল ও আইজল -শিলচরের মধ্যে বিশেষ এটিআর ফ্লাইটের মাধ্যমে মিজোরামে বসবাসকারী মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিতে পারে।

 

নতুন বিপদ মণিপুরের সামনে। রাজ্যের বাসিন্দাদের আর কোনও ক্ষতি করতে নারাজ প্রশাসন। আর সেই কারণে মিজোরামে বসবাসকারী মণিপুরের মেইতিদের বিমানে করে দ্রুত সরিয়ে আনারা পরিকল্পনা নিতে পারে। আইজল থেকে বিমানে করেই মণিপুরের মেইতিদের নিজের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কারণ দিন দুয়েক আগেই মিজোরামের প্রাক্তন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা মণিপুরের মেইতিদের নিজেদের সতর্কতার কারণে মিজোরাম ছেড়ে চলে যেতে বলেছিল।

এয়ারলিফ্টঃ

মণিপুর সরকার আইজল-ইম্ফল ও আইজল -শিলচরের মধ্যে বিশেষ এটিআর ফ্লাইটের মাধ্যমে মিজোরামে বসবাসকারী মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিতে পারে। তবে কবে থেকে এই এয়ারলিফ্ট শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে মিজোরাম সূত্রের খবর, আইজলে মেইতিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার করেছে। মিজো পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানকার কলেজগুলিতে নিপরাপত্তা বাড়ান হয়েছে। মিজোরামে কয়েক হাজার মেইতি বাস করে। যাদের অধিকাংশ মণিপুর আর অসমের।

প্রাক্তন জঙ্গিদের বিবৃতিঃ

মিজোরামের প্রাক্তন জঙ্গি সংগঠন পিস অ্যাকর্ড এমএনএফ রিটার্নিজ অ্যাসোসিয়েশন বা PAMRA সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে মণিপুরের মেইতিদের মিজোরাম ছাড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিজোরামের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। মণিপুরের দুর্বৃত্তরা যে সংঘটিত বর্বর ও জঘন্য উত্তেজনাপূর্ণ কাজ করেছে তার প্রতিদান মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের দিতে হবে। কারণ মিজোরাম আর মেইতি সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ নয়। তাই তাদের মিজোরাম ছেড়়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছএ। সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এরপর যদি মিজোরামে মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায়ের ওপর কোনও হামলার ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তার দায় মেইতিদের। অন্য কারও নয়। শুক্রবার এমনই কঠোর বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে স্পষ্ট করে দিয়েছে, সংগঠন পামরা মিজোরামের সমস্ত মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা হিসেবে তাদের নিজ রাজ্য ছেড়ে অবিলম্বে চলে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে মিজো যুবকরা মণিপুরের জো বা কুকি জাতির মানুষদের ওপর মেইতিদের বর্বর ও নৃশংস হামলার ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ। আর সেই কারণেই মেইতিদের নিরাপত্তা আজ বিঘ্নিত মিজোরামে। তাই মেইতিরা যদি মিজোরাম না ছাড়ে তাহলে তাদেরই দায়ী করা হবে।

মিজোরাম প্রশাসনের বার্তা

মিজোরামের স্বরাষ্ট্র কমিশনার এবং সেক্রেটারি এইচ লালেংমাওইয়া আশ্বস্ত করেছেন যে রাজ্য সরকার মেইতি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে। কিন্তু মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন রাজ্য পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে মেইতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

গত ৪ মে মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে জোর করে রাস্তা দিয়ে হাঁটানো হয়েছে। সেই ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায যা নিয়ে মিজো-তরুণরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ বলেও জানান হয়েছে বিবৃতিতে। সেই কারণে মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের দ্রুত মিজোরাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য মণিপুর ও অসম থেকে প্রচুর মেইতি ছাত্রছাত্রী মিজোরামে পড়তে যায়।