সংক্ষিপ্ত

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস ও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হিমাচলে। ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি ছয়। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য উত্তরাখণ্ডের দেরহাদুন সাক্ষী থাকল মেঘভাঙা বৃষ্টির।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস ও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হিমাচলে। ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি ছয়। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য উত্তরাখণ্ডের দেরহাদুন সাক্ষী থাকল মেঘভাঙা বৃষ্টির। শনিবার সকালে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে তছনছ হয়ে গেছে একটি গ্রাম। দুটি রাজ্যের ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তৎপর রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।  


উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টি
শনিবার ভোরবেলা উত্তরাখণ্ডের দেরহাদুনের রায়পুর-কুমালদা এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। যার কারণে একধিক পাহাড়ি নদীর তীর ভেঙে যায়। বেশ কয়েকটি নদীর জল এতটাই বেড়ে যায় জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেল ব্রিজ বা সাধারণ ব্রিজ। টন নদীর তীরে অবস্থিত বিখ্যাত তাপকেশ্বর শিবমন্দিরের গুহাতেও ঢুকে পড়েছে নদীর জল। 

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে শনিবার ভোর রাত ২.১৫ মিনিটে প্রবল বৃষ্টি হয়। তাতেই ভেসে গেছে সং নদীর ওপরের একটি সেতু। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে মুসৌরির জনপ্রিয় ঝর্না স্পট কেম্পটি ফলস।  স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২টিরও বেশি বাড়ি কাদায় চাপা পড়েছে। গ্রামে আটকে থাকাদের উদ্ধার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি গল মালদেবতা, ভুতসি, তাউলিয়াকাটাল, থাতুদা, লাভারখা, রিঙ্গলগড়, ধুত্তু, রাহদ গাও ও সরখেত। 

রাস্তা বন্ধ
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক, ঋষিকেশ-গঙ্গোত্রী মহাসড়ক, নরেন্দ্রনগর-রানিপোখরি মোটর রাস্তার বেশ কিছু পয়েন্টে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। 

হিমালচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টি
প্রতিবেশী হিমালচ প্রদেশের মান্ডি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হয়। তারই কারণে ভূমিধস আর হড়পা বানের কবলে পড়ে এই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান প্রশাসনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাংড়া জেলার চাক্কি সেতুটি। সেতুর তিনটি স্তম্ভ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। চাকি নদীর ওপর এই রেল সেতুটি এই এলাকার লাইফলাইন বলেও পরিচিত ছিল। 

বৃষ্টির পূর্বাভাস 
ধর্মশালায় মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে মাণ্ডি জেলায় বন্যা দেখা যায়। যারফলে ঘরবাড়ি, দোকানপাট প্রায় ভেসে গেছে। প্রবল বৃষ্টি হয়েছে কাংড়া, কুলু ও মাণ্ডি জেলায়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। তবে এখানেই শেষ হয় হিমাচলে আরও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। নদীর তীববর্তী এলাকা খালি করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।