সংক্ষিপ্ত
মনসুখ মান্ডব্যর কথায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত এই মহামারি পুরো সমাজের কাছেই মানসিক চাপের পরীক্ষা ছিল। এদিন তিনি দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya) ইউনিসেফের (UNICEF) স্টেট অব ওয়ার্ল্ড চিল্ড্রেন রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। এই রিপোর্ট মূলত আলোকপাত করা হয়েছে শিশু ও তরুণেদর মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) কোভিড ১৯ (COVID-19)এর প্রভাবের দিকে। রিপোর্টটি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, ভারতীয় সমাজিক ঐতিহ্য ও প্রাচীন ধ্যানধারনীগুলি এজাতীয় সমস্যা মোকাবিলা করতে অনেকটাই সক্ষম। পাশাপাশি পড়ুয়াদের পরীক্ষার চাপ কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারও প্রশংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন একটি সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করা খুবই প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য ইউনিসেফের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন যেটিকে করোনাভাইরাস মহামারিকালে শিশু ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। রিপোর্টটির শিরোনাম 'দ্যা স্টেট অ্যান্ড দ্যা ওয়ার্ল্ডস চিনড্রেন ২০২১: মাই মাইন্ড : শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রচার, সুরক্ষা ও যত্ন' (The State of the World’s Children 2021; On My Mind: promoting, protecting and caring for children’s mental health)। রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য একটি পুরনো সমস্যা আবার একটি উদীয়মান সংমস্যাও বটে। যদিও ভারতের প্রাচীন ব্যবস্থা আর ঐতিহ্যবাহী ওষুধ এজাতীয় সমস্যা সমাধান করতে পুরোপুরি সফল। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন গ্রামীণ কৃষি পটভূমির পাশাপাশি যৌথপরিবার- যেখানে শিশু এই করোনাকালেও অনেকটাই কম একাকীত্বে ভোগে। ভারতীয়ে একান্নবর্তী পরিবারের কারণে শিশু ও কিশোর কিশোরীরা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে অনেকবেশি আবদ্ধ থাকতে পারে। বাবা মা ছাড়াও মনখুলে কথা বলার জন্য পরিবারের বাকি সদস্যদেরও তারা পায়। কিন্তু নিউক্লিয়ার পরিবারগুলিতে সেই সুযোগ অনেকটাই কম।
Viral Video: শৌচাগারে সিংহ, পশুরাজকে নিয়ে আলোচনায় মগ্ন নেটবাসী
UP Violence: কৃষকদের পিষে মারার video viral, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সুর মিলিয়ে টুইট বিজেপি সাংসদের
মনসুখ মান্ডব্যর কথায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত এই মহামারি পুরো সমাজের কাছেই মানসিক চাপের পরীক্ষা ছিল। এদিন তিনি দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছেন, সেইসময় ওষুধ, অক্সিজেনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু পুরো বিষয়টি ছিল খুব চাপের।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। অভিভাবকদের পাশাপাশি পরিবারের বাকি সদস্য ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এক্ষেত্র প্রধানমন্ত্রীর 'পরীক্ষা পে চর্চা' কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এজাতীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়কে পারে বলেও আশ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ,ইউনিসেফের প্রতিনিধি ইয়াসমিন আলি হক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিশাল চৌহানসহ বিশিষ্টরা।