সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার থেকেই নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে। নতুন আর্থিক বছরে একাধিক পরিবর্তন, যা আপনাকে প্রভাবিত করবে। তাই এই পরিবর্তন সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা উচিত।
শুক্রবার থেকেই নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে। আর নতুন অর্থবর্ষের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যেতে চলেছে আয়করের একাধিক নিয়ম। সেই তালিকায় গৃহঋণ থেকে শুরু করে সম্পত্তি,-সহ একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন হতে চলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে মাঝারি মানের থেকে জীবনদায়ী ওষুধের দামও। সুতরাং নতুন আর্থিক বছরে কয়েকটি পরিবর্তন, যা আপনাকে রীতিমত প্রভাবিত করবে। শুক্রবার নতুন আর্থিক বছর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু বড় পরিবর্তন কার্যকর হবে। যেহেতু এই পরিবর্তনগুলি অর্থের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, তাই এই পরিবর্তন সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা উচিত। যা আপনাকে পরবর্তী সময়ে অনেকটাই সাহায্য করবে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঠিক কী কী বিষয়গুলিতে নতুন অর্থবর্ষের সঙ্গে সঙ্গে বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে।
আগামীকাল থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি , এনএফটি-সহ সব ধরনের ভার্চুয়াল ডিজিট্যাল (ভিডিএ) সম্পদের উপর কর প্রযোজ্য হবে। এছাডা় জুলাই ২০২২ সাল থেকে অ্যাসেট অর্থাৎ সম্পদ বিক্রয়ে ১ শতাংশ টিডিএস কাটা যাবে। পাশাপাশি এইচইউএফএস অন্তর্ভুক্ত ব্যাক্তিদের জন্য টিডিএস-র সীমা হবে ৫০ হাজার টাকা। যাদের অ্যাকাউন্টগুলি আইটি আইনের অধীনে অডিট করা হবে।
অপরদিকে ভারতের ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল অথরিটির দাম নিয়ন্ত্রনে থাকা কেয়কটি ওষুধের উপর ১০.৭ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছে। ন্যাশনাল লিস্ট অব এসেনশিয়াল মেডিসিনের অধীনে থাকা ৮০০ টিরও বেশি ওষুধের দাম আগামীকাল শনিবার থেকে বাড়বে। ওষুধের তালিকায় রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, অ্যান্টি অ্যানিমিয়া, ভিটামিন, খনিজ উপাদানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তালিকায়। এছাড়া এমন কিছু ওষুধ যা মাঝারি থেকে গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই স্টেরয়েডও ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন, আজ ও কাল ব্যাঙ্ক বন্ধ, এপ্রিলে আর কোন কোন দিনে ব্যাঙ্ক বন্ধ
গৃহঋণের উপর কোনও কর ছাড় নেই। চলতি আর্থিক বছরে, ধারা ৮০ইইএ-র অধীনে একজন ব্যাক্তি সুদের উপর আয়কর আইনের ধারা ২৪-এর অধীনে উপলব্ধ দেড় এবং দুই লাখ টাকার উপরে ক্লেইম করতে পারবেন। এর পাশাপাশি সম্প্রতি পিএফ-র উপর সুদের হার কমে ৮.১ শতাংশ হয়েছে। এটা স্বাভাবিকভাবেই চাকরিজীবীদের আয় কমিয়ে দেবে। এর উপরে যারা পিএফ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি অর্থ জমান তাঁদের আয়কর দিতে হবে।
গত সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন যে নীতি ঘোষনা করেছেন, তাতে বছরে আড়াই লাখ টাকার উপরে পিএফ সঞ্চয় হলে সুদের উপরে কর দিতে হবে। এতদিন কর বাঁচাতে ৫ লাখ টাকা অবধি পিএফ বাবদ জমানো যেত। কিন্তু এবার সকল ধরণের প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর্মীদের দেওয়া টাকা বছরে ২.৫ লক্ষ পার হলেই আয়কর রেহাই মিলবে না। বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, বেশি আয় যাদের, তাঁদের অনেক কর ছাড়াের সুবাদে বিপুল টাকা পিএফ-এ ঢুকিয়ে সুবিধা নিচ্ছেন। তা রুখতেই এই পদক্ষেপ। তার মতে এই করের আওতায় পড়বেন, পিএফ সদস্যের মাত্র ১ শতাংশ মানুষ। যারা মূলত উচ্চবিত্ত।