সংক্ষিপ্ত
- তাঁর বার্তা সংসদে ঝড় তুলে দিয়েছে
- দেশে হেন কোনও গণমাধ্যম নেই যেখানে সংসদে মহুয়া মিত্রের বক্তব্য়ের প্রশংসা হয়নি
- সেই বক্তব্যকে নিয়েই তর্কের ঝড় দেশে
তাঁর বার্তা সংসদে ঝড় তুলে দিয়েছে। দেশে হেন কোনও সংবাদপত্র নেই যেখানে সংসদে মহুয়া মিত্রের বক্তব্য়ের প্রশংসা হয়নি। নেটিজেনরাও তৃণমূলের নবনির্বাচিত এই সাংসদের বক্তব্য নিয়ে মজেই ছিলনে। গোল বাধল সম্প্রতি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায় মহুয়া মৈত্র একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি দাবি করে ওয়াশিংটন পত্রিকায় প্রকাশিত 'ওয়ার্নিং সাইনস অফ ফ্যাসিজম' শীর্ষক প্রতিবেদনটির অনেকটাই হুবহু নকল করেছেন মহুয়া নিজের বক্তব্যে কিন্তু কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেননি।
আরও পড়ুনঃ এনআরসি নিয়ে ঝড় তুলেছিলেন মহুয়া, ১২ ঘণ্টায় বাদ গেল লক্ষাধিক বাঙালি মুসলমানের নাম
কিসি কে বাপ কা হিন্দুস্থান থোরি হ্যায়! প্রথম দিনই বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন মহুয়া
স্বাবাভিক ভাবেই ফের ঝড় ওঠে এই নতুন তথ্যকে ঘিরে। পক্ষে বিপক্ষে মত জড়ো হতে থাকে ফের। অভিযোগকারীদের দাবি ওয়ার্নিং সাইন এফ ফ্যাসিজম প্রবন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জায়গায় ব্যবহার করেছেন মোদীর নাম। আমেরিকার প্রেক্ষাপটটি বদলে হয়ে গিয়েছে ভারত। সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেন। তাঁর দাবি, আসলে ইস্যুগুলি থেকে মানুষের মন ঘোরাতেই এই রকম কুৎসা রটানো হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, যাঁর প্রতিবেদন ঘিরে এত কথা তিনি নিজে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ করছেন কিনা।
মজার কথা এই অভিযোগকে আমলই দিচ্ছেন না প্রতিবেদনটির লেখক মার্টিন লংম্যান। লংম্যান নিজের টুইটারে উত্তরও দিয়েছেন এই চর্চার। তাঁর দাবি, একজন সাংসদের ওপরে মিথ্যে আরোপ দেওয়া হচ্ছে চুরির। সারা পৃথিবী জুড়েই দক্ষিণপন্থীরা এমন করেন।
প্রসঙ্গত প্রথম দিনই সাংসদে মুখ খুলেছিলেন মহুয়া মৈত্র। ফ্যাসিবাদের ছয়টি চিহ্ন নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখানোর ইস্যুতে তিনি প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। ভারতবর্ষের বর্তমান সময়কে কালো সময় বলে দাবি করেছিলেন মহুয়া।