সংক্ষিপ্ত

  • ভোররাতে দিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড 
  • আতঙ্কে দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের আনাড মান্ডি
  • একটি ছয়তলা বিল্ডিং-এ আগুন লাগে 
  • ঘটনার সময় ঘুমোচ্ছোলিলেন অধিকাংশ মানুষ

ভোররাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দিল্লিতে প্রাণ হারালেন ৪৩ জন। এদের অধিকাংশই শ্রমিক এবং ভোররাতে গভীর ঘুমে অচৈতন্য ছিলেন। জানা গিয়েছে, এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্ডিতে। যে বিল্ডিং-এ আগুন লেগেছে সেটি একটি কারখানা। আগুনের গ্রাস থেকে ৫০ জন-কে জীবীত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এঁদের অনেকেরই শরীর আগুনে অল্প-বিস্তর ঝলসে গিয়েছে।  

আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন। এরপর ধাপে ধাাপে মোট ৩০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দিল্লি দমকলের ডেপুটি ফায়ার চিফ অফিসার সুনীল চৌধুরী জানিয়েছেন, আনাজ মান্ডির ভিতরে থাকা ৬০০ ফিট প্লটের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা এই কারখানাটির ভিতরে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ছয় তলা এই কারখানাটিতে স্কুল ব্যাগ থেকে শুরু করে জলের বোতল এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিস মজুত করে রাখা ছিল। 

আরও পড়ুন - ভয়াবহ, দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে শোকাহত মোদী থেকে কেজরিওয়াল, তদন্তের নির্দেশ ইমরান-এর

কারখানাটিতে যে ধরনের বস্তু রাখা ছিল তাতে প্রচুর পরিমাণ কেমিক্যালও ছিল বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জন্য মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। এছাড়াও স্কুল ব্যাগ এবং প্লাস্টিকের জলের বোতল আগুনের জেরে ধোঁয়াকে বিষাক্ত করে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। যার জন্য অল্পক্ষণের মধ্যেই বিষাক্ত ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যায় .শ্রমিকদের। 

এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে লোকনায়ক হাসপাতালেই ১৪ জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। আগুন লাগার সময় কারখানার কয়েকটি তলায় কোলাপসিবল গেট বন্ধ ছিল। ফলে তালা খুলতে না পেরে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। দমকলকর্মীরা এসে তালা ভেঙে সবাইকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন কয়েকজন দমকলকর্মী বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থও হয়ে পড়েন। মৃত এবং জীবীতদের বের করে বাইরে এনে অ্যাম্বুল্যান্সে করে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কীভাবে আগুন লাগল তার কারণ নিয়ে এখনও কিছু খোলসা করেনি দমকল। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মৃত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। কারখানাটি-র অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির মালিকানা কার নামে রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও দেখুন - ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে ৪৩ শ্রমিক, দেখুন গ্রাউন্ড জিরো থেকে দিল্লির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ছবি