Maulana Masood Azhar: ভারতের প্রত্যাঘাতে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে মারকাজ। সূত্রের খবর, এটাই ছিল জৈশ-ই-মহম্মদ নেতা মৌলানা মাসুদ আজহারের জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।  

Maulana Masood Azhar: ভারতের প্রত্যাঘাতে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে মারকাজ। সূত্রের খবর, এটাই ছিল জৈশ-ই-মহম্মদ নেতা মৌলানা মাসুদ আজহারের জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে সাংবাদিকতা পাঠের আড়ালেই ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী মাসুদ আজহার জঙ্গি তৈরির কারখানা চালাতেন। বলা যেতে পারে মরকাজ ছিল জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর। ভারত সম্প্রতি একটি ডসিয়র তৈরি করেছে। সেখানে তেমনই উল্লেখ রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। অন্যদিকে মাসুদ আজহারও ছিলেন সাংবাদিক। সাংবাদিকতার মুখোশের আড়ালে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হয়ে ওঠেন।

১৯৯৪ সালে কাশ্মীরে সেনা জওয়ানদের হাত ধরে পড়েছিলেন মাসুদ। গাড়ি থামিয়ে পরীক্ষা করার সময় মাসুগদ তার প্রেসকার্ড দেখান। সেনাও ছেড়ে দেয়। কিন্তু মাসুদের পাসপোর্ট দেখেই সন্দেহ হয়। তখনই জেরা করতেই সামনে আসে আসল তথ্য। সেই সময়ই জানা দিয়েছিল আল - কলম-ই পেশোয়ার নামের একটি কাগজের সাংবাদিক তিনি। গোয়েন্দা সূত্রের খবর এই কাজগটি শুধুমাত্র পেশোয়ারই নয় দেশের সর্বত্রই মাত্র ১৫ টাকায় পাওয়া যায় এই কাগজটি। অনলাইনেও রয়েছে। সেখানেই এডিটোরিয়াল বোর্ডের মাথায় রয়েছে মাসুদ।

১৯৯৮ সালে কান্দাহার বিমান হাইজ্যাকের মাত্র দুই বছরই পরই তিনি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ তৈরির করার কথা ঘোষণা করেন। পাকিস্তানের তথ্য দফতরের অনুমোদনে চলা আল - কলম-ই পেশোয়ার ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে জঙ্গি সংগঠনের মুখপাত্র। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর মাসুদদের প্রশিক্ষণের জন্য আফগানিস্তানেও পাঠান হয়েছিল। কিন্তু শারীরিকভাবে দুর্বল আজহার মাসুদকে শুধুমাত্র বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয়নি। হরকত-উল-মুজাহিদিনের মুখপত্র সদা-ই-মুজাহিদের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাসুদকে। তবে সেখানে তিনি ছিলিনে যথেষ্ট সফল। তিনি সার্কুলেশন কয়েক মাসের মধ্যেই ১০ হাজারে পৌঁছে দেন। তারপরই তাঁকে আরব জাম্বিয়া সহ একাধিক দেশে পাঠান হয়।

১৯৯৩ সালে হরকত-উল-জিহাদ এবং হরকত-উল-মুজাহিদিনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। দুটি সংগঠন মিলে তৈরি হয় হরকত-উল-আনসার। ১৯৯৪ সালে মাসুদ সংগঠনের অ্যাসাইনমেন্টে পাক-অধিকৃত কশ্মীরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ সহ একধিক দেশে সফর কররেন। পাসপোর্ট অনুযায়ী সেই সময় তাঁর নাম হয় ওলি আদম ইশা। তবে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন।

১৯৯৮ সালে কান্দাহার কাণ্ডের পর দেশে ফেরেন মাসুদ। তারপর গঠন করেন জৈশ-ই-মহম্মদ। জৈশ গঠনের মাত্র এক বছরের মধ্যেই ২০০১ সালে পার্লামেন্ট অ্য়াটক। তারপরই ২৬/১১ , পহেলগাঁও হামলায় নাম জড়ায় মাসুদের। গোয়েন্দাদের কথায়, 'শারীরিক ভাবে আনফিট থাকলেও ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতায় মুসলিমদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আজহারের নাম বার বার সামনে এসেছে। বাহওয়ালপুরে মারকাজ সুভান-আল্লা নামে মোট ১৮ একর জমির উপরে নিজের ডেরা গড়ে তুলেছিলেন তিনি। সেখানে মাদ্রাসায় সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের নামে মগজধোলাইয়ের কাজ চলত। কারণ, আজহার এটা জানতেন যে, সাংবাদিকতাকে সামনে রাখলে বাইরের যে কোনও জায়গায় গিয়ে ইনফরমেশন জোগাড় করে আনা তুলনামূলক সহজ কাজ।' ভারতীয় গোয়েন্দাদের সূত্র বলছে মাদ্রাসার আড়ালেই চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণের পাঠ। তবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের এই তত্ত্বে সিলমহর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেছেন, 'আর্মির পরে আমাদের সেকেন্ড লাইন অফ ডিফেন্স হচ্ছে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা।'