সংক্ষিপ্ত

মেঘালয়ে বুথ ফেরত সমীক্ষায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত। এনপিপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পাবে না। অন্যদিকে তৃণমূলের বিধায়ক থাকবে বিধানসভায়।

বুথ ফেরত সমীক্ষায় মেঘালয় বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হওয়ার কথাই বলছে। কারণ একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে প্রয়োজনীয় আসন পাবে না রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশানাল পিপিলস পার্টি বা এনপিপি। যদিও দলের প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, রাজ্যে সরকার গঠনের জন্যই তাঁরা লড়াই করেছেন। তবে এই রাজ্যে একটি বড় সাফল্য পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।

বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী এই মেঘালয়ে এনপিপি পাবে ৪-৮টি আসন। কংগ্রেস পাবে ৬-১৩টি আসন। তবে এই রাজ্যে তৃণমূলের জন্য সুখবর রয়েছে। তৃণমূল ৫-৯টি আসন পেতে পারে। বাকি দলগুলি ১৭-২৯টি আসন পেতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষায়। যার অর্থ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ভোটে জিতে বিধানসভায় দলের প্রতিনিধিত্ব করবে। কারণ এর আগে মেঘালয় বা ত্রিপুরাতেও তৃণমূলের বিধায়ক ছিল। কিন্তু তারা প্রত্যেকে দল বদল করে তৃণমূলে গিয়েছিল।

মেঘালয়ে ক্ষমতা এনপিপি ক্ষমতায় ফেরার জন্য লড়াই করছে। বিজেপি, তৃণমূল-সহ বাকি আঞ্চলিক দলগুলি এই রাজ্যে শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চাইছে। রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এনপিপি আর বিজেপি একা একা লড়াই করলেও রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য গতবারের জন্য আবারও বিজেপির সঙ্গেই হাত মেলাবে। যদিও সবকটি দলই জানিয়েছে তারা ২ মার্চ ফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

বুথ ফেরত সমীক্ষায় এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে কনরাড সাংমার এনপিপি। এই রাজ্যে ২৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। কংগ্রেসের ভাগ্য থাকতে পারে ১৯ শতাংশ ভোট, তৃণমূলের দখলে যেতে পারে ১৬ শতাংশ ভোট। আর বিজেপি পাবে ১৪ শতাংশ ভোট। যদিও মেঘালয়ে নির্বাচন নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটে জিতলে এই রাজ্যের মত মেঘালয়তেও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু হবে বলেও বলেছিলেন। তবে মেঘালয়ের যা পরিস্থিতি তাতে আপাতত তৃণমূলকে বিরোধী আসনেই বসতে হবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।