সংক্ষিপ্ত

  • প্রতিবেশীদের মধ্যে সামান্য বচসা
  • তারই বলি হল এক ১৩ বছরের কিশোরী
  • তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল প্রতিবেশীই
  • সবটাই ঘটল তার ছোট বোনের চোখের সামনে

 

মানুষ ক্রমে তার মানবিক সমস্ত গুণ হারিয়ে ফেলছে। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে সম্প্রতি যে মর্মান্তিক ও ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, তা জানার পর মানুষের উপর থেকে সব বিশ্বাস চলে যেতে বাধ্য। দুই প্রতিবেশীর সামান্য বিবাদের বলি হল এক ১৩ বছরের কিশোরী। কেরোসিন ঢেলে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। বলরামপুরের সিনোড়া গ্রামে পাশের বাড়ি থেকে একটি চাঙর খসে পড়েছিল রামু নামে এক যুবকের বাড়িতে। এই নিয়ে দুই বাড়িতে একপ্রস্থ বিবাদ হয়। সেই বিবাদের জেরেই পরে প্রতিবেশী কিশোরীর ওই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটায় রামু বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন - ৩ দিনেই চিহ্নিত ৩০০০০-এরও বেশি 'নাগরিক', যোগীরাজ্যে পথচলা শুরু সিএএ-র

সূত্রের খবর পুরো ঘটনাটাই ঘটে নিহত কিশোরীর ছোট বোনের চোখের সামনে। সে পুলিশকে জানিয়েছে, পাশের বাসিন্দা রামু আচমকাই তাদের বাড়িতে ঢুকে তার দিদির গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। যাতে তাকে কেউ সাহাষ্য না করতে পারে বা সে পালাতে না পারে তার জন্য বাইরে থেকে ঘরটির তালাও বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন - অপহরণ করে ধর্ষণ তারপর ধর্মান্তরিত, গুরুতর অভিযোগ উঠল কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে

পোড়ার জ্বালায় ওই কিশোরী আর্তনাদ করে ওঠে। সেই সময়ই রামু সেখান থেকে পালায়। এদিকে কিশোরীর চিৎকার শুনে তার পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। কিন্তু দরজার তালা ভেঙে যতক্ষণে তারা কিশোরীর কাছে পৌঁছান, ততক্ষণে সে আর বেঁচে নেই।

আরও পড়ুন - স্ত্রী-সহ মহিলা সহকর্মীদের পোশাক বদলের ভিডিও তুলে হাজতে, শেয়ার করে বিপদে সাংবাদিকও

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ওই কিশোরীর দেহ ময়না তদন্তেরক জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরই অভিযুক্ত রামু ও তার পুরো পরিবার পলাতক। এই ঘটনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে একি সঙ্গে আতঙ্ক ও প্রচন্ড ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে আপাতত গ্রামে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য এসপি দেবরঞ্জন ভার্মা দুটি দল গঠন করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্তদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুন - 'আমাকে বাঁচান', পলাতক বউয়ের অতীত জেনেই পুলিশের কাছে কাতর আবেদন স্বামীর

এদিকে চোখের সামনে দিদিকে পুড়ে মরতে দেখার পর থেকে নিহত কিশোরীর বোনও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তীব্র আতঙ্কে সে বালো করে ঘুমোতেও পারছে না বলে জানা গিয়েছে।