সংক্ষিপ্ত
- বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে প্রেমিক
- লজ্জায় আত্মহত্যা করল নাবালিকা
- হোলির আগেই মর্মান্তিক পরিণতি
- পস্কো আইনে মামলা দায়ের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে
মঙ্গলবার দেশ জুড়ে হোলি পালিত হয়েছে। রঙের উৎসবে মেতেছিলেন সকলেই। যদিও করোনা আতঙ্কে এবার অনেকেই রঙ খেলার থেকে দূরে ছিলেন। আর এর মধ্যেই গুজরাতের রাজধানী আহমেদাবাদের চারনগর এলাকায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক ষোড়শী কন্যা।
সোমবার বিকেলে বাড়িতে নিজের ঘরেই ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে। ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল তার নিথর দেহ। মানসিক অবসাদেই কিশোরী এই পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: এসএসকেএমে শুরু করোনা ভাইরাস পরীক্ষা, চলতি মাসেই রাজ্যের আরও ৩ হাসপাতালে মিলবে সুবিধা
জানা গেছে কিশোরীর প্রেমিক তার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও তিন বন্ধুর কাছে ফাঁস করে রেখেছিল। সেই তিন বন্ধুর হাত ধরে ভিডিও পৌঁছে যায় আরও অনেকের কাছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ভেঙে পড়ে ওই কিশোরী। গত ২৯ ফেব্রুয়ারির নাবালিকার মা-বাবা তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
"অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নাবালিকা অবসাদে চলে যায়। শেষপর্যন্ত গত সোমবার বিকেলে সে নিজেকে শেষ করে দেয়। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে ওই অন্তরঙ্গ ভিডিওটি শ্যুট করেছিল কিশোরী। কিন্তু তাকে না জানিয়েই প্রেমিক সেটি বন্ধুদের কাছে ফাঁস করে দেয়।" জানিয়েছেন সর্দারনগর পুলিশস্টেশনের ইন্সপেক্টর হেমন্ত প্যাটেল।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে মরে পড়ে রয়েছে অসংখ্য বাদুড়, করোনা আতঙ্কের মাঝেই নতুন বিপদের গন্ধ কেরলে
এই ঘটনায় প্রেমিক সহ চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। "নাবালিকার প্রেমিকের বিরুদ্ধে পস্কো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।" জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর হেমন্ত প্যাটেল।