আমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তের জন্য একাধিক প্রতিকূলতার মুখোমুখী হতে হয়েছিল মোদী সরকারকে। কেন্দ্রের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের সরকারও বাধা দিয়েছিল।  উত্তর প্রদেশ পুলিশ নাকি সেই সময় আবু বাশারকে গুজরাটি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।

আমেদাবাদের সিরিয়াল বিস্ফোরণে (ahmedabad serial blast) দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে অন্য়তম আবু বাসার শেখ (Abu Bashar)। তার বাড়ি উত্তর প্রদেশের আজমগড় (Ajamghar, UP) জেলায়। সরাইমার এলাকার বিনাপারের বাসিন্দা আবু বাসার। শুক্রবার তাকে আদালত ৮৯ জনের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এই আবু বাসার ছিল ভয়ঙ্ক সন্ত্রাসবাদী। তদন্তকারীদের দাবি আবু বাসার আমজগড় মডিউলের সবথেকে ভয়ঙ্কক সন্ত্রাসবাদী। তাকে একটা সময় উত্তর প্রদেশ থেকে গুজরাটে (Gujarat) আনতে গুজরাট সরকার একটি বিশেষ বিমান পাঠিয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি আমেদাবাদ সিলিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ডও এই আবু বাসার।

 আবু বাসারের সঙ্গে একটা সময় যোগাযোগ ছিল কংগ্রেসের। জাপান কে পাঠক নামে এক টুইটার ব্যহহারকারী গোটা বিষয়টি খোলাখুলি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, গুজরাট পুলিশ আমেদাবাদ সিরিয়াল ব্লাস্ট মামলায় আবু বাশারকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু তার পরই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এক কংগ্রেস নেতা। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস নেতা রাম নরেশ যাদব বাশারের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁর মা ও বাবাকে সান্ত্বনা দেনয তিনি বলেছিলেন ভুল মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আবু বাশারকে। একই সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে হাইকম্যান্ডের কাছে তুলে ধরবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 

Scroll to load tweet…

এখানেই শেষ নয়। আমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তের জন্য একাধিক প্রতিকূলতার মুখোমুখী হতে হয়েছিল মোদী সরকারকে। কেন্দ্রের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের সরকারও বাধা দিয়েছিল। উত্তর প্রদেশ পুলিশ নাকি সেই সময় আবু বাশারকে গুজরাটি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু সেই সময় মোদী চাটার্ড প্লেনে করে প্রয়োজনী নথিও পাঠিয়েছিলেন। তারপরে গুজরাটের মোদী সরকার একটি বিশেষ বিমান পাঠায়। তাতেই বাশারকে নিয়ে যাওয়া হয় গুজরাটে। পাঠক আরও বলেছেন গুজরাট সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছিল। 

Scroll to load tweet…

আমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলার তদন্তের জন্য তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স সমন্বয় কমিটি তৈরি করেছিলেন। এই কমিটিতে ফরেন্সিক সায়েন্স, ল্যাবরেটরির প্রধান, গুজরাট পুলিশের প্রধান ও রাজ্যের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। তবে সেই সময় গুজরাট সরকারের মূল উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দেওয়া। সেই কারণে সেই রাজ্যে সিমি বা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিদের কার্যকলাপ শেষ হয়েছে। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই মামলার তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে পেরেছিল গুজরাট প্রশাসন।

সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলা নিয়ে কথা বলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে। তিনি, গুজরাটের সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে আইন (GUJCOC) পাস করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এই আইন রাজ্য বিধানসভায় পাশ হলেও কেন্দ্রের নিষ্ক্রীয়তার জন্য চার বছর আটকে ছিল। সেই সময় দিল্লিতে ইউপিএ সরকার ছিল। 

'আমি কংগ্রেসের ভাড়াটে নই', কংগ্রেস নেতৃত্বকে সতর্ক করলেন মণীশ তিওয়ারি

সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর মুখে নেহেরুর নাম, সংসদে বললেন 'নেহেরুর ভারত'

কুমার বিশ্বাসের বিতর্কিত মন্তব্য, নিষেধাজ্ঞা জারি নির্বাচন কমিশনের