সংক্ষিপ্ত
২০১৭ সালে দেশের ১৩টি নদীকে পুনরুজ্জীবিত করার দাবিতে র্যালি ফর রিভারস আন্দোলন (Rally for Rivers Movement) করেছিলেন সদগুরুর (Sadhguru)। এবার, সেই আন্দোলনের খসড়া নীতি মেনেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করছে মোদী সরকার (Modi Govt)।
২০১৭ সালে আধ্যাত্মিক গুরু সদগুরুর (Sadhguru) চালু করা র্যালি ফর রিভারস আন্দোলনের (Rally for Rivers Movement) সুপারিশ করা খসড়া নীতির ভিত্তিতে, দেশের ১৩টি প্রধান নদীকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার (Narendra Modi Govt)। এই উদ্যোগ কৃষি, জল সুরক্ষা, জীবিকা এবং বাস্তুসংস্থানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে, ইশা ফাউন্ডেশন (Isha Foundation) বলেছে, এর পরেও বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুসংস্থান আন্দোলন ভারতের লাইফলাইনগুলিকে লালন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপকে অনুপ্রাণিত করবে।
মোদী সরকারের এই ঘোষণাকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন সদগুরু। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত (Gajendra Singh Shekhawat) এবং কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রীকে ট্যাগ করে, তিনি এই উদ্যোগকে 'সবচেয়ে সময়োপযোগী' বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, নদীর মতো সকল প্রাকৃতিক ধনকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে এবং তাদের পূর্ণ গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হবে। অরণ্য়ায়নের (Forestry) মাধ্যমে নদীগুলির আয়ু বৃদ্ধি নিশ্চিত করা যাবে বলে জানিয়েছেন সদগুরু। জবাবে, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেছেন, সদগুরুর দূরদৃষ্টি, দিকনির্দেশনা এবং বাস্তুবিদ্যার প্রতি সর্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের অনুপ্রেরণা।
আরও পড়ুন - সদগুরুর ভূমি রক্ষা আন্দোলনে সামিল ৬ টি ক্যারিবিয় দ্বীপরাষ্ট্র, সাক্ষরিত হল মউ
আরও পড়ুন - সদগুরুর মাটি বাঁচাও আন্দোলনে সাড়া চার ক্যারিবিয়ান দেশের, সই হল চুক্তি
এই ১৩ টি নদীর অববাহিকা এলাকার পরিমাপ, মোট ১৮,৯০,১১০ বর্গকিলোমিটার বা দেশের মোট ভৌগলিক এলাকার ৫৭.৪৫ শতাংশ। আর ২০২টি উপনদী ধরলে এই ১৩টি নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৪২,৮৩০ কিলোমিটার। অরণ্য়ায়নের বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে, এই বিশাল এলাকার জল, ভূগর্ভস্থ জলের ভান্ডারকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি ভূমিক্ষয় (Erosion) রোধ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অরণ্যায়নের মডেলগুলির মধ্যে রয়েছে - শাল-সেগুনের মতো প্রজাতির গাছ, যেগুলি থেকে কাঠ পাওয়া যায়। এছাড়া, থাকবে ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদ, ফলের গাছ, ঔষধি গাছ এবং ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ।
এই প্রকল্পের জন্য, ১৩টি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদনে, সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ল্যান্ডস্কেপে অরণ্যায়ন এবং সহায়তামূলক কার্যক্রমের জন্য ৬৬৭ প্রকারের মডেলের প্রস্তাব করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপের জন্য ২৮৩ টি ট্রিটমেন্ট মডেল, শহুরে ল্যান্ডস্কেপে ১১৬টি ট্রিটমেন্ট মডেল এবং কৃষিজমি ল্যান্ডস্কেপে ৯৭টি ট্রিটমেন্ট মডেলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প প্রতিবেদনগুলিতে মূলত ফোকাস করা হয়েছে, সুরক্ষা, অরণ্যায়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নতি, জনগনের আয় বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতার সমাধান, পরিবেশগত পুনরুদ্ধার, আর্দ্রতা সংরক্ষণ, ইকো পার্ক বা রিভারফ্রন্ট তৈরি করে ইকোটুরিজম গড়ে তোলা এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার উপরে।