সংক্ষিপ্ত
সদগুরুর (Sadhguru) নেতৃত্বে মাটি বাঁচাও আন্দোলনে (Save Soil Movement) যোগ দিল ৬ টি ক্যারিবিয়ান দেশ। আগামীদিনে এই আন্দোলন নিয়ে মোটর সাইকেল যাত্রায় বের হবেন ইশা ফাউন্ডেশন (Isha Foundation) প্রতিষ্ঠাতা।
সদগুরুর (Sadhguru) নেতৃত্বে মাটি বাঁচাও আন্দোলনে (Save Soil Movement) যোগ দিল ৬ টি ক্যারিবিয়ান দেশ। অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা (Antigua and Barbuda), ডোমিনিকা (Dominica), সেন্ট লুসিয়া (St. Lucia), সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস (St. Kitts and Nevis), গায়ানা (Guyana) এবং বার্বাডোজ (Barbados) - এই ছয়টি দেশই, নিজ নিজ দেশের মাটি সংরক্ষণের জন্য, ইশা ফাউন্ডেশন (Isha Foundation) প্রতিষ্ঠাতা সদগুরুর নেতৃত্বে, 'সেভ সয়েল মুভমেন্ট' বা 'মাটি বাঁচাও আন্দোলনে' অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমঝোতা চুক্তি বা মউ স্বাক্ষর করেছে। ভূমিক্ষয় রোধ করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য ও জলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি দেশই দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মাটি বাঁচাও আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা স্বীকার করে সদগুরু বলেছেন, এই ছোট ছোট দেশগুলি সমুদ্রের বুকে থাকা মুক্তোর মতো। এরাই ভূমিক্ষয় নিয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে পারে। দেখিয়ে দিতে পারে, প্রতিটি দেশ ভবিষ্যতের স্বার্থে তার মাটিকে রক্ষা করতে পারে। এই ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রগুলি আকারে ছোট হলেও, তাদের দেশের নেতাদের নেতৃত্বের দৃষ্টির প্রসারতা অনেক বড় বলে জানিয়েছেন সদগুরু। এই পরিবেশগত উদ্যোগ এই প্রজন্মের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলির মধ্যে একটি, বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন - সদগুরুর মাটি বাঁচাও আন্দোলনে সাড়া চার ক্যারিবিয়ান দেশের, সই হল চুক্তি
আরও পড়ুন - Cauvery Calling: কাবেরী কলিং-এর বড় সাফল্য, ২ কোটি চারা রোপন হয়েছে বলে দাবি সদগুরুর
অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন (Gaston Browne) বলেছেন, এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে তিনি আনন্দিত। ভূমিক্ষয়ের সমস্যা, গোটা গ্রহের জন্যই হুমকির। বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি (Mia Mottley) বলেছেন, এই বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত না নিলে, ২০৫০ সালেও নিরাপদে পৌঁছতে পারা যাবে না। এই উদ্যোগকে তিনি অত্যন্ত সময়োপযোগী বলেছেন। কারণ, এটা একটা গোটা প্রজন্মের নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গী তাত্ক্ষণিকতার থেকে প্রসারিত করে ভবিষ্যতমুখী করে তোলার উদ্যোগ।
ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন টু কমব্যাট ডেজার্টফিকেশন বা ইউএনসিসিডি (UNCCD)-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমান হারে ভূমিক্ষয় হতে থাকলে, পৃথিবীর সম্পূর্ণ মাটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও (FAO)-র অনুমান, আগামী ৬০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সমস্ত উপরের স্তরের মৃত্তিকা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। পাল্লা দিয়ে জনসংখ্যা বেড়ে চললে, অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় সেভ সয়েল মুভমেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের সমস্ত দকেশে ভূমিক্ষয় রোধী পদক্ষেপের বিষয়ে সচেতন করতে চাইছেন সদগুরু।
এই আন্দোলনের অংশ হিসাবে, তিনি ১০০ দিনে যুক্তরাজ্য (United Kindom), ইউরোপ (Europe) এবং মধ্যপ্রাচ্যের (Middle East) ২৭ দেশ জুড়ে মধ্য দিয়ে ৩০,০০০ কিলোমিটারের একাকি মোটরসাইকেল যাত্রায় বের হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এই যাত্রার সময়, তিনি বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে, বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এবং এই দেশগুলির নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভূমি রক্ষার বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেবেন। ২১ মার্চ লন্ডন থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। শেষ হবে কাবেরী নদীর অববাহিকায়, যেখানে সদগুরু 'কাবেরী কলিং' (Cauvery Calling) প্রকল্প শুরু করেছেন। রাষ্ট্রসংঘের ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থা, তাঁর এই উদ্যোগকে সমর্থন করছে।